রাজধানীর মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর দাফন হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে গুলশান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে (আজাদ মসজিদ) জানাজার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়।
মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সকালে বাসার সামনে প্রথম জানাজা শেষে দুপুরে আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষ হয়। পরে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মতিয়া চৌধুরী গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
শেরপুরের সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। মতিয়া চৌধুরী ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। সংসদ সদস্য হয়ে ছয়বার সংসদে গিয়েছিলেন মতিয়া চৌধুরী।
ঢাকার ইডেন কলেজে পড়ার সময় রাজনীতিতে জড়ানো মতিয়া চৌধুরী ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন। তিনি দলটির কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা এবং আহতদের শুশ্রূষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
মতিয়া চৌধুরী ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা হয়েছিলেন তিনি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : মতিয়া চৌধুরী দাফন বুদ্ধিজীবী কবরস্থান
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh