‘ইউনূসের নাকি সময় নাই, তাহলে শহিদদের পরিবার কোথায় যাবে’

অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবে নিহতদের পরিবারের খোঁজ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা। 

আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্তত ২০টি শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের একজন যাত্রাবাড়ীতে নিহত ইমাম হাসান তাইমের ভাই মো. রবিউল আউয়াল।

তিনি বলেন, ‘গত রবিবার শহিদ পরিবারের প্রতিনিধি গিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের দরজায় ভিক্ষার ঝুড়ি নিয়ে, উনার সহকারী বলল, গত ৩০ তারিখের মধ্যে আমাদের দেখার ব্যবস্থা করে দেবে। উনি মেসেজ দিয়েছেন, ডক্টর ইউনূসের নাকি শহিদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সময় নাই। তাহলে বলেন, শহিদ পরিবার কোথায় যাবে? আমাদের কেন রাস্তায় নেমে আসতে হলো?’

রবিউল আউয়াল জানান, ছয় মাস ধরে তিনি এবং শহিদ পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকটি হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে দৌড়াচ্ছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনি অভিযোগ দিলেও তার সেই অভিযোগ নেওয়া হয়নি।

রবিউল আউয়াল প্রশ্ন করেন, ‘ছয় মাসে কয়টা আসামি গ্রেপ্তার করেছেন? ২০০০ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মাত্র ৩৫ জন আসামি গ্রেপ্তার কি তাদের প্রাপ্তি? বিচার জন্য তো আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আসামি যদি গ্রেপ্তার না হয়, তাহলে ফাঁসিটা দেবে কাকে? এই বিচারের নামে রঙ্গমঞ্চ তৈরি করার মানেটা কী?’ 

আন্দোলনে স্বামী হারিয়েছেন বীথি আক্তার। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘শহিদদের পরিবারের দাবি যদি মেনে না নেওয়া হয়, তবে আমাদেরও মেরে ফেলুন। আমাদের এখন বাঁচার কোনো দরকার নাই।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত সাংবাদিক মেহেদী হাসানের বাবা মোশারেফ হোসেন হাওলাদার শহিদ পরিবারগুলোর দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘নিহত পরিবারগুলো এক মুঠো ভাত চায়, একটি রুটি চায়, বাঁচার মতো বাঁচতে চায়, তা না হলে এই পরিবারগুলোকেও মেরে ফেলুন।’

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh