ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০১৯, ০৩:১৩ পিএম
গর্ভবতী মা। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিটি নারী সন্তান জন্ম দেওয়ার মাধ্যমেই মাতৃত্বের স্বাদ পায়। ২৫-৩০ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম সন্তান নেওয়া উত্তম। অনেকে দেরি করে বিয়ে করার কারণে কিংবা চাকরি, পড়াশুনার কারণে বাচ্চা নিতে দেরি করে। কিন্তু এদিকে বয়সটাও যে পেরিয়ে যাচ্ছে। ত্রিশের পরে মা হলে নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে।
বয়স ত্রিশ পেরিয়ে গেলে, মা হওয়ার ঝুঁকি গুলো জেনে নিন:
গর্ভপাতের আশংকা
বয়স বাড়ার সাথে সাথে সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমতে থাকে। ত্রিশের পর গর্ভধারণ করলে গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, মায়ের বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেলে, তাদের বাচ্চাদের ডাউন সিনড্রোম বা বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি হওয়ার আশংকা বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ
নারীদের যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ , থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকে তাহলে গর্ভাবস্থায় ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন সমস্যার কারণে অপরিপক্ক বাচ্চার জন্মহার বেড়ে যায়। বয়স ত্রিশ পেরিয়ে গেলে, মায়েদের বিলম্বিত প্রসব বা রক্তক্ষরণজনিত কারণে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার হার বেড়ে যায়।
মানসিক চাপ
ত্রিশের পর প্রথম সন্তান জন্মদান করলে, দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার আগে দুই তিন বছরের বিরতি নিন। নয়তো স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে। এই সময় মায়ের শরীর এবং মনের ওপর চাপ বাড়ে। গর্ভাবস্থায় বা পরে সাইকিয়াট্রিক বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
সমস্যা সমাধানে করণীয়
১. ত্রিশের পর মা হতে চাইলে প্রথম থেকেই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তারপর গর্ভধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বামীর বয়সের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
২. আগে থেকে ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করতে হবে। সবুজ পাতা সমৃদ্ধ খাবার ও ফলমূল যেমন পুঁইশাক, পাটশাক, মুলাশাক, সরিষা শাক, পেঁপে, লেবু, ব্রকলি, মটরশুঁটি, শিম, বরবটি, বাঁধাকপি, গাজর, আম, জাম, লিচু, কমলা, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি খেতে হবে। ফলিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ ডাল যেমন মসুর, মুগ, মাষকালাই, বুটের ডাল খেতে হবে।
৩. উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া, থাইরয়েডের সমস্যা আছে কিনা তা জেনে নিন। সমস্যা থাকলে চিকিৎসা নিন।
৪. বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি দেখার জন্য ১২-১৩ সপ্তাহে ডাউন স্ক্রিনিং এবং ২০-২২ সপ্তাহে অ্যানোমেলি স্ক্রিনিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই স্ক্রিনিংগুলো করুন।