চুয়াডাঙ্গায় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৪ পিএম | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৫ পিএম

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আঁইলহাস ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী (১০) কে ধর্ষণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামীম কবির।

ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে জানাযায়,বাড়ির কাছে একটি মাঠের স্যালোমেশিন ঘরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় মেয়েটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন ওই গ্রামের মারফত আলীর ছেলে ধর্ষক আহম্মদ আলী (২৫)। তারা এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানায়।

গ্রামের বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সী জানান, উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের জিয়ারুলের মেয়েকে আহম্মদ আলী মুরগি ধরে দেয়ার কথা বলে মাঠের একটি স্যালোমেশিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের কথা কাউকে না বলার জন্য মেয়েটিকে ভয় দেখান ধর্ষক আহম্মদ আলী। মেয়েটি  বাড়ি ফিরে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। তখন তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ধর্ষককে আটকের জন্য পুলিশ তপরতা চালাচ্ছে। আটকের পর তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এ ব্যাপারে আঁইলহাস ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য টিটন বলেন, এলাকার একটি স্যালোমেশিন ঘরের মধ্যে মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে আহম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার চিকিসক শামীম কবির ওই হাসপাতালের জেষ্ঠ্য গাইনি কনসালটেন্ট চিকিসক আকলিমা খাতুনের বরাত দিয়ে জানান, রাত ১১টার দিকে পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে । শুক্রবার সকালে প্রাথমিক পরীক্ষায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন আলামত পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হয়নি বলে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সী জানান।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh