ময়লার ঝুড়িতেও নান্দনিকতা

রাবেয়া পারভীন

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:২৮ এএম | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:৩৫ পিএম

নান্দনিক ময়লার ঝুড়ি। ছবি: সংগৃহীত

নান্দনিক ময়লার ঝুড়ি। ছবি: সংগৃহীত

ময়লা কাপড়ের ঝুড়ি। নামেই যেন প্রকাশ করে দেয় নিজস্ব রূপ। অযত্নে কেনা হয়। এরপর রাখা হয় অবহেলায়। বাড়িতে বাড়তি জায়গার অভাবে অনেক সময় ঘরের মধ্যেই রাখতে হয় ময়লা কাপড় ফেলার ঝুড়িটি। গতানুগতিক ঝুড়িই যে কিনতে হবে, এমনটি কিন্তু নয়। নান্দনিকতা শব্দটি খুব সহজেই জুড়ে দিতে পারেন এর গায়ে। এরপর না হয় কাপড়গুলো ছুড়ে দিলেন ভেতরে।

প্রাকৃতিক  বিভিন্ন উপাদান দিয়েও তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ঝুড়ি। এগুলোর আছে নানা আকার ও দৈর্ঘ্য। ঘরের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন আকারের ঝুড়ি বেছে নেওয়া সম্ভব। রঙের ক্ষেত্রেও যাঁরা একটি রঙিন কিছু পছন্দ করবেন, তাঁরা পেয়ে যাবেন লাল, সবুজ, খয়েরি, চকলেট, কালোর মতো রং। আছে সাদা ও ঘিয়ে রংও। পাট, বাঁশ, বেত, হোগলাপাতা আমাদের এখানে খুব সহজেই পাওয়া যায়। পণ্য তৈরিতে এখন এই জিনিসগুলোর প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। এসব উপাদান ব্যবহারে চলে আসছে দেশীয় আমেজও।

জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) প্রায় সারা বছরই পাটের বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রি চলে। এখানে গিয়ে দেখা গেল, পাটের তৈরি বিভিন্ন আকারের ময়লা কাপড় রাখার ঝুড়ি রয়েছে। আকারেও রয়েছে ভিন্নতা, যেমন লম্বাটে, গোলাকৃতি, কিছুটা আয়তাকার। ২ থেকে ৩ ফুট, ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার ঝুড়ি রয়েছে। অন্যদিকে হাতলসহ, হাতল ছাড়া, ঢাকনাসহ, ঢাকনা ছাড়া ঝুড়িও পাওয়া যাবে এখানে।

জেডিপিসির এক বিক্রয়কর্মী বলেন, পাট দিয়ে প্রায় ২৮০ ধরনের পণ্য তৈরি করে হয়, যার মধ্যে এটি একটি। পরিবেশবান্ধব হওয়ার পাশাপাশি খুব সহজেই এই ঝুড়ি বহন করা সম্ভব। তবে পাট যেহেতু পচনশীল, তাই খুব ভেজা কাপড় পাটের ঝুড়িতে না রাখাই ভালো। এ ছাড়া অরণ্যতে রয়েছে বাঁশ, বেত ও পাটের নানা আকার ও লম্বা ঝুড়ি। অন্যদিকে যাত্রায় একেবারেই ভিন্নধর্মী হোগলাপাতার ঝুড়ি রাখা হয়েছে। আবার বাঁশ ও বিভিন্ন গ্রামীণ নকশার কাপড় দিয়ে তৈরি ঝুড়ি ঘরের সৌন্দর্যও বাড়াবে নিশ্চিন্তে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh