নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৪৭ পিএম | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:১৯ পিএম
‘শিক্ষাঙ্গনে দূর্নীতি ও সন্ত্রাস' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকালের সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ (বায়ে)। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
শিক্ষাঙ্গনের নাম আসলেই এখন দুর্নীতির নাম চলে আসে বলে মন্তব্য করেছেন সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকালের সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ।
তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার পর থেকেই দুর্নীতি ও সন্ত্রাস নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে গত ১০-১৫ বছরে এই আলোচনাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিক্ষাঙ্গনের নাম আসলেই এখন দুর্নীতির নাম চলে আসে।'
নাগরিক ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের দোতলায় ভিআইপি লাউঞ্জে 'শিক্ষাঙ্গনে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ বলেন, 'দেশ গড়ে উঠার প্রাক্কালে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের শুরু হয়। যখন দেশটাকে গড়ে তোলার প্রয়োজন ছিল তখন থেকেই এসব শুরু। এসব দুর্নীতি দেশটাকে সোনার বাংলা হওয়ার পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।'
তিনি বলেন, শিক্ষাঙ্গনে প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দুর্নীতি বিরাজমান। আনুগত্য নিয়ে যারা শিক্ষক হন, প্রশাসক হন, তাদের প্রধান কাজই হয় সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। সেজন্য দুর্নীতিটাই প্রধান হয়ে যায় এবং শিক্ষা হয় গৌণ।'
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ' সুস্থ ভাবনা করুন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যতটুকু সম্ভব কথা বলার বলুন।'
আলোচনা সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, 'রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সব উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে যাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় নেই। শিক্ষকতার চেয়ে যারা আনুগত্যের প্রতি বেশি মনোযোগী থাকবেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ছাত্রলীগকে খুশি করতে না পারলে আরেক মেয়াদে উপাচার্য হিসাবে থাকা উনার পক্ষে সম্ভব না। ছাত্রলীগের নেতাদের খুশি করা তার দায়িত্বের মধ্যে।'
তিনি আরো বলেন, 'বর্তমান অবস্থায় বরাদ্দ যত বেশি ঝুঁকি তত বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বরাদ্দে স্থাপত্য নিয়োগ, ঠিকাদার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে।'
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সত্য কথা না বলাটাই হলো সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। আমরা সবাই তার অংশীদার হয়ে যাচ্ছি। সাহস হারিয়ে ফেলেছি। সত্য বলতে না দেওয়াও দুর্নীতি।’
নাগরিক ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক সাকিব আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌহিদুল হক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক মুহম্মদ রাশেদ খানসহ নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা।