ধর্ষণের পর থানায় বিয়ে: আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, পাবনা

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:৫৭ পিএম

দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঘন্টু। ছবি: সংগৃহীত

দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঘন্টু। ছবি: সংগৃহীত

পাবনায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ এবং থানায় অভিযুক্ত একজনের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে দেওয়ার ঘটনার অন্যতম আসামি আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পাবনা থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান।

ঘন্টু দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তাঁর অফিসেই ওই নারীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, তিন সন্তানের জননী ওই নারীর বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের যশোদল গ্রামে। তার অভিযোগ, প্রতিবেশী রাসেল আহমেদ গত ২৯ আগস্ট এক সহযোগীসহ তাকে তার বাড়িতে ধর্ষণ করে। দুই দিন পর (৩১ আগস্ট) তাকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে নিয়ে তিনদিন আটকে রেখে সেখানেও চার-পাঁচ জন তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। বিষয়টি ওই নারী বাড়ি ফিরে স্বজনদের জানালে গত ৫ সেপ্টেম্বর তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে পুলিশ রাসেলকে প্রথমে আটক করে। ওই নারীর স্বামী থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত রাসেলের সঙ্গে থানায় তাকে বিয়ে দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ধর্ষণের মামলা না নিয়ে মীমাংসা করতে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে গৃহবধূকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সদর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা জানাজানি হলে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন এবং ধর্ষণ মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয় জেলা পুলিশ। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ওই গৃহবধূকে থানায় ডেকে নিয়ে মামলা করে পুলিশ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh