কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন যেভাবে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৩৫ পিএম | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৫৬ এএম

কর্মক্ষেত্রে অবসাদগ্রস্ত এক নারী। ছবিটি ফোর্বস থেকে নেওয়া হয়েছে।

কর্মক্ষেত্রে অবসাদগ্রস্ত এক নারী। ছবিটি ফোর্বস থেকে নেওয়া হয়েছে।

কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ থাকবেই। সেটা হতে পারে সহনীয় পর্যায়ের কিংবা তার চেয়ে বেশি। বেশি কাজের চাপে কর্মী হতাশ হতে পারেন। তাঁর কাজের গতি ও উৎকর্ষ কমতে পারে। অতিরিক্ত কাজের চাপ ব্যক্তির শরীর ও মনে প্রভাব ফেলে। এভাবে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপে ব্যক্তিজীবনে বিপর্যয় নামতে পারে। 

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেল্প গাইডের ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন সচেতন কর্মীকে অবশ্যই মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। 

প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপের কারণ ও তা প্রশমনের উপায়। 

কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপের কারণ

অতিরিক্ত কাজের চাপ।

মনের মতো কাজ না পাওয়া।

নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার বেশি সময় কাজ করা।

চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যে বিশাল পার্থক্য।

কম বেতন পাওয়া।

উপযুক্ত কর্মপরিবেশ না পাওয়া।

নিরাপত্তার অভাবে ভোগা। 


মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশল

'না' বলতে শেখা

কাজের ক্ষেত্রে এমনকি ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও অনেক সময় না বলতে জানতে হয়। অনেকেই আছেন যারা না বলতে জানেন না। ফলে তাদের ওপর দায়িত্ব বেশি চাপানো হয়। আর অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়া অনেক সময় তাদের নিজেদের জন্যই অনেক ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই মাঝে মাঝে 'না' বলতে শিখুন। আপনি কতটুকু দায়িত্ব নিতে পারবেন, আপনার ক্ষমতা কতটুকু এবং কত চাপ নিলে হতাশ হবেন না এই সম্পর্কিত ভাবনাগুলো আগে থেকে ভেবে নিন। 

ছুটি 

আপনি যত বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরি করুন না কেন, সপ্তাহে একদিন কিংবা দুই দিন নিজের জন্য আলাদা সময় রাখুন। অফিস থেকে ছুটি নিন। কারণ একটানা কাজ করতে করতে আপনি ক্লান্ত হয়ে যাবেন। একটানা কাজ করলে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হওয়া স্বাভাবিক। তাই কর্মচাঞ্চল্য ও গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য হলেও আপনাকে ছুটি নিতে হবে।

রোজ ব্যায়াম

রোজ ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কারণ ব্যায়াম আপনাকে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখবে। মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি, একাগ্রতা বৃদ্ধি, সময়ানুবর্তী হওয়ার ব্যাপারে ব্যায়াম তথা শরীরচর্চা আপনাকে সাহায্য করবে। 

পর্যাপ্ত ঘুম

মানসিক অবসাদগ্রস্ততা, ক্লান্তি দূর করতে ঘুমের বিকল্প নেই। তাই রোজ ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমান। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে আপনার দেহের ও মনের ক্লান্তি দূর হবে এবং আপনি সতেজ হয়ে উঠবেন।



সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh