গৃণনির্মাণ ঋণ নীতিমালা: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৩০ এএম

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

গৃণনির্মাণ ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী একজন একজন সরকারি চাকরিজীবী সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ২০ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। তবে, ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ শতাংশ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ সুদ দেবেন ঋণগ্রহীতা সরকারি চাকরিজীবী এবং বাকি ৫ শতাংশ সরকারের পক্ষ  থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া হবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ ২০ বছর।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি চাকুরেরা গৃহনির্মাণ ঋণ হিসেবে এ পর্যন্ত পেয়েছেন ১১২ কোটি টাকা। মোট ১৫০ সরকারি চাকরিজীবী ওই সুবিধা পেয়েছেন। এদের বেশির ভাগই পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ঋণ। ৫ শতাংশ সুদে যারা ওই ঋণ পেয়েছেন তাদের বেশির ভাগই বাড়ি নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তবে নীতিমালা না মেনে বা ভুলভাবে আবেদন করায় অনেকের আবেদনই বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আবার যারা আবেদনের যোগ্য তাদের মধ্যে নন-ক্যাডার কর্মকর্তা সবচেয়ে কম। 
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাবে, ওই খাতে প্রায় ১১২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে দেশের ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে রূপালী ব্যাংক। ব্যাংকটি এ খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেক বিতরণ করেছে। ঋণ পাওয়া ১৫০ জন সরকারি চাকরিজীবীর মধ্যে ১০০ জনই বাড়ি নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার কাজ শুরু করেছেন। ঋণের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। এদের বেশির ভাগই আবার সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকার জন্য আবেদন করেছেন। অন্যদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে ৬৫ লাখ টাকার জন্য।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেও যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিবরাই এগিয়ে আছেন। উপসচিবরা আবেদনে খুব একটা এগিয়ে নেই। আবার ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তারা যতটা এগিয়ে ঠিক ততটাই পিছিয়ে নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা। অল্প কয়েকজন নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ঋণের জন্য আবেদন করেছেন। আবেদনকারী এক হাজার ৫০০ কর্মকর্তার মধ্যে এক হাজার জনের আবেদন বাদ পড়েছে শুধু ত্রুটির কারণে। এদের বেশির ভাগই নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দেননি। আবার কেউ কেউ কাগজপত্র জমা দিলেও ঠিকভাবে ফরম পূরণ করেননি।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh