সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার পর তেলের দাম বেড়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৩৬ এএম | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০২:৩১ পিএম

হামলায় বাকিয়াক তেল স্থাপনায় বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও আগুন দেখা গেছে। ছবি: বিবিসি

হামলায় বাকিয়াক তেল স্থাপনায় বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও আগুন দেখা গেছে। ছবি: বিবিসি

সৌদি আরবের দুটি তেলক্ষেত্রে হামলার পর অপরিশোধিত তেলের দাম গত চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার দেশটির দুটি তেল ক্ষেত্রে হামলার পর বিশ্বে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ৫ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।

দিনের শুরুতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারেল প্রতি প্রায় ৭২ ডলার হয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেল প্রতি ১৯ শতাংশ বেড়ে ৭১.৯৫ ডলারে স্পর্শ করেছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ১৫ শতাংশ বেড়ে ৬৩.৩৪ ডলারে পৌঁছেছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির রিজার্ভ থেকে তেল ছাড়ার বিষয়টি অনুমোদন দেওয়ার পর জ্বালানি তেলের দাম আবারো কমে আসে।

সৌদি আরবের যে দুটি তেলক্ষেত্রে হামলা হয়েছে সেগুলো পুনরায় উৎপাদনে আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এই তেলক্ষেত্র দুটি সৌদি আরবের তেল শিল্পের কেন্দ্রে অবস্থিত ও এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার।

সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশ। প্রতিদিন তারা ৭০ লাখ ব্যারেলের বেশি জ্বালানি তেল রপ্তানি করে।

সৌদি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান আরামকো পরিচালিত দুটি তেল শোধনাগারে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও হুতি বিদ্রোহীদের দাবি নাকচ করে দিয়ে এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে ইরান বিষয়টিকে 'ধোঁকাবাজি' বলে অভিহিত করেছে।

এর আগে ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, কারা এই হামলার সাথে জড়িত সেটি তারা জানেন। কিন্তু সৌদি আরব বিষয়টি নিয়ে কিভাবে অগ্রসর হতে চায় সেটি জানার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন।

পশ্চিমাদের সমর্থিত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। অপরদিকে দেশটির হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে ইরান। -বিবিসি

বাকিয়াকে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও আগুন দেখা গেছে। ছবি: বিবিসি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh