ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০২:৪১ পিএম
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ছবিটি পেন মেডিসিন থেকে নেওয়া হয়েছে।
সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি কারণে হার্টের রোগ হয়। জেনেটিক বা বংশত কারণে হার্টের রোগ বেশি হয়ে থাকে। আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে এই রোগ। তবে বংশগত কারণ ছাড়া অন্যান্য কারণে হৃদরোগ হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং সুস্থ থাকা যায়। জেনে নিন যেসব খাবার হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে তা সম্পর্কে।
সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল
নিয়মিত ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি খেলে হার্ট ভালো থাকে। বিশেষ করে তাজা ফলের রস হার্টের জন্য ভালো। সবুজ শাক-সবজির মধ্যে পালংশাক, লাউ, কুমড়া, গাজর, বিট, বাঁধাকপি, ভুট্টা, লাল আলু ইত্যাদি হার্টের জন্য বেশ উপকারি।
ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার
ক্যারটিনয়েড ও ভিটামিন-সি যুক্ত ফলমূল যেমন কমলালেবু, পেঁপে, আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, আঙ্গুর ইত্যাদি খাবারগুলোতে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা হার্টের জন্য খুবই উপকারি। তাই হার্ট ভালো রাখতে এসব খাবার খান।
রান্নায় সঠিক তেলের ব্যবহার
হার্ট সুস্থ রাখতে রান্নার তেল নির্বাচনের সময় সতর্ক থাকতে হবে। রান্নায় অলিভ ওয়েল বা বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন। ভেজিটেবল ওয়েলও হার্টের জন্য ভালো।
খাদ্য তালিকায় মাছ
মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়, যা খেলে হার্টের রোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ও রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমাট বাঁধা প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
আদা, রসুন ও হলুদ
রান্নার সময় মসলা হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণে আদা, রসুন ও হলুদ ব্যবহার করুন। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত মসলা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
এছাড়াও ড. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল এক নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন হার্ট সুস্থ রাখতে হলে নিম্নোক্ত অভ্যাসগুলো পালন করতে হবে।
১. নয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। রোজ হাঁটতে হবে।
২. সপ্তাহে তিন থেকে চার বার ৩০-৬০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে।
৩. লিফটের পরিবর্তে সিড়ি ব্যবহার করতে হবে।
৪. অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. মাছ, মুরগির মাংস, শিম ও ডাল জাতীয় যেকোনো চর্বিহীন খাবার গ্রহণ করতে হবে।
৬. ডিমের কুসুম, খাসির মাংস ও মগজ, চিংড়ি মাছ ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।