দক্ষিণ আফ্রিকায় চার বছরে চারশ’ বাংলাদেশিকে হত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০১:০৪ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৪:০০ পিএম

ব্যবসা ও টাকা নিয়ে বিরোধ, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক, ব্যক্তিগত বিবাদ ইত্যাদি কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় গত চার বছরে চারশ’র বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমেদ চৌধুরী এ কথা জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি জানান, নিহত অনেকের পরিবার মৃত্যুর বিষয় জানান না বলে প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে। এছাড়া বিবাদ মেটাতে বেশিরভাগ বাংলাদেশি ‘স্থানীয় গুন্ডা ভাড়া' করেন বলেও জানান তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদেশি শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং বাংলাদেশিদের দোকানেও হামলা হয়েছে।

খলিল মিয়া নামে এক অভিবাসী বাংলাদেশি জানিয়েছেন, স্থানীয়রা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে থাকে। যদিও আমরা তাদের চাকরি নিচ্ছি না, তবুও তারা আমাদের ওপর বন্দুক নিয়ে হামলা করে।

জোহানেসবার্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নেতা আব্দুল আওয়াল তানসেন বলেন, ‘অনেক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কিন্তু বিচার চাওয়া তো দূরের কথা, আমরা সেগুলো কাউকে জানাইনি, কারণ আমাদের অনেকেই এখানে অবৈধভাবে বাস করছেন।’

চলতি শতকের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিদের অভিবাসন শুরু হয়। এখন প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি সে দেশে বাস করছেন। তাদের অনেকেই অবৈধভাবে আছেন। অনেক বাংলাদেশিই সেখানে মুদি দোকান দিয়েছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের দূতাবাস জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮৮ জন বাংলাদেশির লাশ দেশে পাঠানো হয়েছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সংখ্যাটি মোট ৪৫২। 

দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে যারা মারা গেছেন তাদের প্রায় ৯৫ শতাংশই হত্যার শিকার হয়েছেন। অনেককেই তাদের দোকানে গুলি করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের ঠিক কতজন নাগরিক প্রবাসে আছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) হিসেবে, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটি ২৬ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য দেশের বাইরে পাড়ি জমিয়েছেন। তবে কতজন ফিরে এসেছেন সেই পরিসংখ্যান নেই সেখানে। -ডয়চে ভেলে

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh