নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:৫৯ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৪:০১ পিএম
সেলিম প্রধানের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর গুলশান থানায় মাদক আইনে করা মামলায় অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধানসহ তাঁর দুই সহযোগীর চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। দুই সহযোগী হলেন- আক্তারুজ্জামান ও রোকন।
ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানির আগে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল মাদক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শেখ রকিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার তিন আসামিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম। ওই দিন আদালত সেলিম প্রধানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার রিমান্ড বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে আদালত সেলিম প্রধান ও তাঁর দুই সহযোগীকে চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
অপরদিকে তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানার মানি লন্ডারিং ও মাদক আইনের মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে মঙ্গলবার অফিসে দুটি হরিণের চামড়া রাখায় সেলিম প্রধানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩২২ নম্বর ফ্লাইটটি ছাড়ার আগ মুহূর্তে সেলিম প্রধানকে আটক করা হয়। এরপর সেলিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর গুলশান-২ এর ১১/এ রোডে সেলিম প্রধানের অফিসে অভিযান শুরু করে র্যাব। রাতভর অভিযানের পর দুপুরে বনানীর আরেকটি অফিসে অভিযান চালানো হয়।
দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪৮টি বিদেশি মদের বোতল, ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ নগদ টাকা, ২৩টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা (যার মূল্য ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা), ১২টি পাসপোর্ট, ১২টি ব্যাংকের ৩২টি চেকবই, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাবের তদন্তে সেলিমের গুলশানে ‘প্রধান ফ্যাশন’ ও ‘প্রধান বিউটি কেয়ার অ্যান্ড স্পা’ নামে আরও দুটি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সেলিম প্রধানের সব ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে করে তাঁর নিজের ও প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে আর কোনো টাকা উত্তোলন করা যাবে না। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গত মঙ্গলবার সব ব্যাংকের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে।