ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৩১ এএম | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ০২:৩১ পিএম
সিরিয়ার কুর্দি নিয়ন্ত্রিত শহর আল দারবসিয়ায় গত বছর মার্কিন সৈন্য ও এসডিএফ যোদ্ধাদের যৌথ টহল। -বিবিসি
সিরিয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত বেশ কিছু এলাকা থেকে হঠাৎ করে গত রবিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ফলে তুরস্কের জন্য কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান চালানোর সুযোগ তৈরি হলো।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে তুরস্ক যে কোনো সময় সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে জড়াতে চায় না। ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার পর এই অঞ্চলে মার্কিন সৈন্যরা আর থাকবে না।’
অথচ কিছুদিন আগ পর্যন্তও কুর্দি নেতৃত্বাধীন এসডিএফ মিলিশিয়ারা ছিল মার্কিন বাহিনীর প্রধান মিত্র। সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এসডিএফ মিলিশিয়ারা মার্কিনীদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে।
তবে সম্প্রতি কুর্দি মিলিশিয়ারা অভিযোগ করে, নিজেদের স্বার্থ হাসিলের পর যুক্তরাষ্ট্র তাদের অঙ্গীকার পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সৈন্যদের সরিয়ে নেবার পর ক্ষুব্ধ কুর্দি মিলিশিয়ারা বলেছে, ওয়াশিংটন তাদের পিঠে ছুরি মেরেছে।
এসডিএফের এক মুখপাত্র আরবি টিভি চ্যানেল আল হাদাতকে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে এই অঞ্চলে তুরস্কের সামরিক অভিযান তারা করতে দেবে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে আমরা বিস্মিত হয়েছি। এসডিএফের জন্য এটা পিঠে ছুরি মারার সামিল।’
তুরস্ক এসডিএফকে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী বলে মনে করে এবং সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে এসডিএফকে হটিয়ে একটি ‘নিরাপদ এলাকা’ প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ছিল এই কুর্দি মিলিশিয়াদের সুরক্ষা দেবার পক্ষে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তুরস্ক যদি কুর্দি বাহিনীগুলোর ওপর আক্রমণ চালায় তাহলে তুরস্ককে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেয়া হবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগানের এক টেলিফোন আলাপের পরই ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত নেন। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আইএস সদস্য বলে সন্দেহ করা হয় এমন ১২ হাজার লোক বন্দি আছে, যার মধ্যে অন্তত চার হাজার হচ্ছে বিদেশি যোদ্ধা এবং এই বন্দীদের দায়িত্ব এখন তুরস্কই নেবে। -বিবিসি