ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৪১ এএম | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৫১ পিএম
সিরিয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। ছবি: বিবিসি
সিরিয়ায় পশ্চিমা সমর্থিত কুর্দি মিলিশিয়াদের শক্তি খর্ব করতে এবং তাদেরকে সীমান্ত এলাকা থেকে তাড়াতে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক।
‘অপারেশন পিস স্প্রিং’ নামের এ অভিযানের প্রথম ঘন্টাতেই উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী এসডিএফের অবস্থানে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তবে প্রাণহানির এখনো পাওয়া যায়নি।
রাতভর সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সৈন্য সমাবেশ ও সাঁজোয়া যান জড়ো করে তুরস্ক। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় তুর্কি সমর্থিত সিরীয় আরবদের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কয়েক হাজার মিলিশিয়া।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান গতকাল বুধবার দুপুরে এই সেনা অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন। টুইটারে তিনি বলেন, ‘আমাদের দক্ষিণ সীমান্তে সন্ত্রাসের একটি করিডোর যাতে তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করা এবং সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠাই তুরস্কের এই অভিযানের উদ্দেশ্য।’
উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী এসডিএফকে তুরস্ক একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচনা করে। তুরস্কের ভয়, এসডিএফ তুরস্কের অভ্যন্তরে তৎপর কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উস্কানি দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর সেখানে তুরস্কের এ অভিযান শুরু হল। সিরীয় কুর্দি নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ সেনা প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্তকে পিঠে ছুরি মারার সামিল বলে নিন্দা করেছেন। তাছাড়া, দেশে-বিদেশেও যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, তুরস্ক ৪৮০ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত একটি 'সেফ জোন' বা নিরাপদ এলাকা তৈরির পরিকল্পনা করেছে। কুর্দি মিলিশিয়াদের তাড়িয়ে এই 'সেফ জোনে' তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া ৩৫ লাখের মতো সিরীয় শরণার্থীকে পুনর্বাসন করতে চান প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
এদিকে এসডিএফ সাবধান করে এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তুর্কি সামরিক অভিযানে 'চরম মানবিক বিপর্যয়' ঘটবে। এই অভিযানে হাজার হাজার নিরপরাধ বেসামরিক লোকজনের রক্ত বইবে ‘
এসডিএফ বলেছে, তারা তিনদিন ধরে তুর্কি অভিযান প্রতিরোধে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় মানুষজনকে একত্রিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।