ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০১:৩০ পিএম
তেওতা জমিদার বাড়ির ভবন।
তেওতা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের প্রাচীন জমিদার বাড়ি ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা গ্রামে অবস্থিত। এই জমিদার বাড়িতে রয়েছে নজরুল-প্রমীলার অনেক স্মৃতি। জমিদার বাড়ির পাশেই নজরুলের স্ত্রী প্রমীলা দেবীর বাড়ি।
জানা যায়, সতেরশ' শতকে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি নির্মাণ করেছিলেন পঞ্চানন সেন নামক একজন জমিদার। জনশ্রুতি অনুসারে, পঞ্চানন সেন এক সময় খুবই দরিদ্র ছিলেন ও দিনাজপুর অঞ্চলে তিনি তামাক উৎপাদন করতেন। পরে প্রচুর ধনসম্পত্তির মালিক হওয়ার পর এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তি সময়ে এখানে জমিদারি প্রতিষ্ঠিত করে জয়শংকর ও হেমশংকর নাম দুজন ব্যক্তি। ভারত বিভক্তির পর তারা দুজনেই ভারত চলে গেলে বাড়িটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
এছাড়াও এই জমিদার বাড়িতে রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিচিহ্ন।
তেওতা জমিদার বাড়ি ৭.৩৮ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। জমিদার বাড়ির মূল ভবনের উত্তর দিকের ভবনগুলো নিয়ে হেমশংকর এস্টেট এবং দক্ষিণ দিকের ভবনগুলো নিয়ে জয়শংকর এস্টেট। প্রতিটি এস্টেটের সামনে বর্গাকৃতির অট্টালিকার মাঝখানে আছে নাটমন্দির। পূর্বদিকের লালদিঘী বাড়িটি জমিদারদের অন্দরমহল। অন্দরমহলের সামনে দুটি শানবাঁধানো ঘাট। দক্ষিণ পাশের ভবনের নিচে রয়েছে চোরা কুঠুরী, যাকে এলাকার মানুষ বলে অন্ধকূপ। উত্তর ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ৪ তলা বিশিষ্ট ৭৫ ফুট উচ্চতার নবরত্ন মঠ। এর ১ম ও ২য় তলার চারদিকে আছে ৪টি মঠ।
যেভাবে যাবেন
তেওতা জমিদার বাড়ি ঢাকার খুব নিকটে হওয়াই দিনে গিয়ে ফিরে আসা যায়। ঢাকা থেকে তেওতা জমিদার বাড়ির দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। গাবতলী থেকে বাসে আরিচা ঘাট যেতে হবে। গাবতলী থেকে পদ্ম লাইন, যাত্রীসেবা ও বিআরটিসিতে চড়ে তিন ঘন্টা সময়ে আরিচা ঘাট যাওয়া যায়। জনপ্রতি খরচ হবে ৭০-১০০ টাকা। আরিচা ঘাট থেকে ২০-৩০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে যাওয়া যাবে তেওতা জমিদার বাড়ি।