ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০১৯, ১২:০৩ পিএম | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯, ০১:৩৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সাধারণত শিশুদের ছয় থেকে বার মাসের মধ্যে দাঁত ওঠে। অনেকের আবার এক বছরের বেশি সময়ও লাগতে পারে। বাবা মায়ের কাছে সন্তানের দাঁত ওঠার বিষয়টি আনন্দের।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে শিশুর নতুন দাঁতের যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে বলা হয়েছে।
দাঁত ওঠার লক্ষণ
সাধারণত চার থেকে সাত মাসের মধ্যে দাঁত ওঠার লক্ষণ দেখা দেয়। এসময় মুখে অতিরিক্ত লালার সৃষ্টি হয়। মুখে ব্যথার কারণে ক্ষুধা কমে যায়। যে কোনো খেলনা বা যে কোনো কিছু কামড়ানোর ইচ্ছা বেড়ে যায়। অনেক শিশুর আবার দাঁত ও মুখে র্যাশ দেখা দেয়।
যত্ন
প্রথম অবস্থায় শিশুর দাঁতের যত্ন নিলে পরে সুস্থ দাঁত গঠনে সাহায্য করে। শিশুর দাঁতের যত্ন নেওয়ার উপায়গুলো হলো:
১. প্রথম অবস্থায় দিনে দুবার ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। আর তা ছোট বেলা থেকেই শুরু করতে হবে। শিশুর একটা দাঁত থাকলেও তা পানি দিয়ে ছোট ও নরম টুথব্রাশ ব্যবহার করে ধীরে ধীরে পরিষ্কার করতে হবে।
২. দাঁত ওঠার আগে গরম পানিতে ধোয়া নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে শিশুর মাড়ি পরিষ্কার করে দিন। যত্ন নিলে মাড়ি ভালো থাকে।
৩. অধিকাংশ অভিভাবকই শিশুর সবগুলো স্থায়ী দাঁত ওঠার আগে তার যত্ন নেন না। মুখের স্বাস্থ্যের যত্ন নেন না। শিশুর মুখের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। কেননা এটা দাঁত পরিপক্ক হতে সাহায্য করে।
৪. মিষ্টি পানীয় যেমন- মিষ্টি দুধ এবং ফলের রস এক বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিষেধ। শিশুদের চিনি মিশানো ফলের রস ও সোডা এড়িয়ে চলা উচিত।
৫. খাবার পরে শিশুকে পানি পান করান। এটা শিশুর দাঁত পরিষ্কার করতে এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৬. আমেরিকান একাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স (এএপি) এর গবেষণা অনুযায়ী, শিশুর বয়স তিন বছর হলে তাকে ফ্লোরাইড নির্ভর টুথপেস্টের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। আর মটর পরিমাণ টুথপেস্ট দিয়ে শিশুর দাঁত মেজে পরিষ্কার করে দিন। শিশুকেও ব্রাশ করার সঠিক পদ্ধতি শিখিয়ে দিন।