নব্য জেএমবির প্রধান লক্ষ্য পুলিশ: ডিএমপি

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার নব্য জেএমবির দুই সদস্যের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বেই সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশের উপর বোমা হামলা করা হয়েছে।

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আজ সোমবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার নব্য জেএমবির দুই সদস্য মোহাম্মদ মেহেদী হাসান তামিম ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আজমিরকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, সিটিটিসির একটি দল বিশেষ অভিযানে নব্য জেএমবির এই দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে  সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ডিএমপি নিউজ

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। তাদের প্রধান লক্ষ্য পুলিশ। তাই বিভিন্ন সময় হামলার জন্য তারা পুলিশবক্সকে লক্ষ্য করে হামলা করেছে। প্রতিটি হামলার আগে টার্গেটকৃত স্থানে বারবার রেকি করে তারা। পুলিশের ওপর তাদের হামলার কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিসংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করা। যার মধ্যে তাদের প্রথম পছন্দ ছিল আইএস। তারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিল। তবে এখন আইএসের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।’

সিটিটিসি প্রধান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার এ দুই সদস্য জানিয়েছে, দুজনই খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যন্ত্র প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রিধারী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তারা নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তারা ভোলার একটি দুর্গম চরে প্রশিক্ষণ নেয়।’

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের শুরুর দিকে গত সেপ্টেম্বর মাসে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক ফরিদ উদ্দিন রুমির ছোট ভাই রফিকের নেতৃত্বে একটি সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়। হামলার লক্ষ্যে তারা ফতুল্লায় রফিকের বাসায় একটি কারখানায় বোমা তৈরি করে আসছিল। তাদের তৈরি বোমা দিয়ে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল গুলিস্তানে ও ৩১ আগস্ট মালিবাগে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এছাড়া সায়েন্সল্যাব, মালিবাগ, পল্টন ও খামারবাড়ির বোমা হামলায় ব্যবহৃত বোমাও তাদের হাতেই তৈরি ছিল।’

তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।