ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৩৯ পিএম | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৪০ পিএম
আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস আজ ১৭ অক্টোবর (বৃহম্পতিবার)। জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতিবছরই সারা বিশ্বে এই দিনে দিবসটি পালিত হয়।
বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও মানুষের অসমতা দূর করাই দিবসটির মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশেও গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয় দিবসটি।
১৯৯৫ সালকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ বর্ষ ঘোষণা করে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পর্যবেক্ষণে দেশে দেশে দারিদ্র্য ও বঞ্চনা বিশেষ গুরুত্ব পায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ৯০ দশকের উন্নয়নে দারিদ্র্য ও বঞ্চনা দূরীকরণ প্রাধান্য লাভ করে।
এ বিবেচনায় দারিদ্র্য ও বঞ্চনা দূরীকরণের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় রেখে এক্ষেত্রে কতিপয় এনজিওর উদ্যোগকে ১৯৯২ সালের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অভিনন্দন জানানো হয়। বিশেষ করে ফ্রান্সভিত্তিক এনজিও এটিডি ফোর্থ ওয়ার্ল্ডসহ তাদের অতি দারিদ্র্য দূরীকরণ আন্দোলনের সফলতায় ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস পালনের কথা পর্যালোচনা করা হয়। এ আলোকে সাধারণ পরিষদও উল্লিখিত সভায় ১৭ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস ঘোষণা করে।
দেশে দেশে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে বিদ্যমান দারিদ্র্য এক জটিল ও বহুমাত্রিক সমস্যা, যার উদ্ভব জাতীয় ও আঞ্চলিক পরিসরে। দারিদ্র্য বিমোচনের কোনো একক উপায় নেই। এজন্য প্রয়োজন দেশকে স্বীয় অবস্থা বিবেচনা করে নিজস্ব কর্মসূচি নির্ধারণ। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহায়তাদানের মাধ্যমে তাদের এ সমস্যা উত্তরণে সাহায্য করা।
বিশ্ব ব্যাংক মনে করে, গত এক দশকে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ অগ্রগতি অর্জন করেছে; কিন্তু এখনো প্রতি চারজনে একজন দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে। এ ছাড়া জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমাচ্ছে। তবে দারিদ্র্য কমছে তুলনামূলক ধীরগতিতে। ২০১০ সাল থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়লেও দারিদ্র্য বিমোচনের গতি কমেছে। আর দারিদ্র্য কমেছে অসমভাবে।
গত ৭ অক্টোবর বিশ্ব ব্যাংক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ পোভার্টি অ্যাসেসমেন্ট’ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। যার বেশিরভাগই সম্ভব হয়েছে শ্রম আয় বৃদ্ধির কারণে। ২০১০-১৬ সালের মধ্যে ৮০ লাখ বাংলাদেশি দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে দেশে অসমভাবে দারিদ্র্য কমেছে।