নেতৃত্বের দোলাচলে যুবলীগ

সাম্প্রতিক দেশকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১০:২৯ পিএম | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৩০ পিএম

আগামী ২৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংঠন যুবলীগের সপ্তম সম্মেলন হতে যাচ্ছে। ক্যাসিনো, দুর্নীতি, টেন্ডারবাণিজ্য ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইতোমধ্যে সংগঠনটির একাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন আরো নেতাকর্মী। এরই জেরে সংগঠনটির ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যাপক সংস্কারের আভাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। 

এর আগে ২০১২ সালে যুবলীগের তিন বছর মেয়াদি কমিটি ঘোষণা করা হয়। চার বছর ধরে নেতৃত্ব বদল না হওয়ায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তুষ্টি রয়েছে। সংগঠনটির তরুণ নেতাকর্মীদের দাবি, ছাত্র ও যুব রাজনীতির অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ কর্মীবান্ধব এমন কেউ নেতৃত্বে আসুক। আর সাবেকরা চান তরুণ, যুববান্ধব ও সৎ নেতৃত্ব। ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সপ্তম কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়েছে। আলোচনায় এসেছে অনেকের নাম।

চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় রয়েছেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ ও তার ছোট ভাই ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বর্তমান কমিটির সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম (শেখ সেলিমের ছেলে), যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, ফারুক হোসেন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন ও ডা. মোখলেছুর রহমান হিরু।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন, অর্থ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হালদার, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, সহসম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ।

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোখলেছুর রহমান হিরু গণমাধ্যমকে বলেন, সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করেছি। নেত্রী যদি দায়িত্ব দেন তাহলে আগামীতে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করবো। 

সংগঠনটির আরেক নেতা মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, সকলের চাওয়া যোগ্য ও পরিচ্ছন্ন কেউ নেতৃত্বে আসুক। সেক্ষেত্রে নবীন ও অভিজ্ঞদের সমন্বয় থাকলে সংগঠন সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া সহজ হবে।

দলের নেতৃত্বের পরিবর্তনের পাশাপাশি আলোচনায় যুক্ত হয়েছে বয়সসীমা নিয়েও। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুর হক মণি ৩২ বছর বয়সে যুবলীগের নেতৃত্বে আসেন। তখন যুবলীগের গঠনতন্ত্রে ৪০ বছরের একটি বয়সসীমার বিধান ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে মণি নিহত হওয়ার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ১৯৭৮ সালে যুবলীগের দ্বিতীয় কংগ্রেসে বয়সসীমার বিধানটি বিলুপ্ত করা হয় বলে সংগঠনের নেতারা জানান। সংগঠনটির বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বয়স ৭১ বছর।

যুবলীগের গঠনতন্ত্রে এখন সংগঠনের সদস্যভুক্তিতে কোনো বয়সসীমার উল্লেখ নেই। তবে বাংলাদেশের জাতীয় যুবনীতিতে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের যুবক হিসেবে ধরা হয়েছে।

অন্যদিকে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালার আলোকে ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বরে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের সিনিয়র সিটিজেন ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ, ওমর ফারুক যখন যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন, ততদিনে প্রবীণের খাতায় তার নাম উঠে গেছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh