প্রতিনিধি, জাবি
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০১৯, ০১:১২ পিএম | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:৫৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আবারো আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগে প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়ে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি আবাসিক হলের ছাত্রছাত্রীরা এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি অংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে মিছিলটি ছাত্রীদের হলের দিকে গেলে হল থেকে ছাত্রীরা বেরিয়ে এসে মিছিলে যোগ দেন। মিছিল থেকে উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে নানা স্লোগান দেয়া হচ্ছে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্রী হল ঘুরে পরিবহন চত্বর হয়ে মুরাদ চত্বরে গিয়ে সমাবেত হয়।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মুসফিক-উস-সালেহীন জানান, উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে তাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে ও হল বন্ধে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত তারা মানবেন না।
আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দেন আন্দোলনরত-শিক্ষার্থীরা। পরে ভবনটির ফটক আটকে দেয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভ মিছিল শেষে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে সংহতি সমাবেশ হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে হল ছাড়ার নির্দেশের পরও রাতে হলে অবস্থান করা ছাত্রীদের অনেকেই আজ সকালে হল ছাড়েন। একাধিক ছাত্রী জানিয়েছেন, হল ছাড়তে হল প্রশাসন তাদের চাপ প্রয়োগ করছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের মিছিল থেকে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হন। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ও বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর হল ছাড়ার সময়সীমা কয়েক দফায় পরিবর্তন করা হয়। সর্বশেষ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে হল ছাড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায় প্রশাসন।
গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে রাখেন। যত দিন না উপাচার্যকে অপসারণ করা হবে, তত দিন অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।