ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ০১:২১ পিএম | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:২৫ পিএম
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পোশাকে পশুর লোম বা ‘ফার’ এতোদিন বেশ পরিচিত উপাদান ছিল।
তবে গতকাল বুধবার বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কোনো নতুন পোশাকে আর ফার ব্যবহার করবেন না রানি। শীতের পোশাকে প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে নকল ফার।
তবে বিবৃতিতে এটিও বলা হয়েছে যে, পুরনো যে সব ফারের পোশাক রয়েছে, সেগুলো মাঝে মাঝে পরবেন রানি।
মিঙ্ক বা বেজিজাতীয় এক ধরনের লোমশ প্রাণীর লোম দিয়ে তৈরি লম্বা একটি কোট ইতোমধ্যেই সরিয়ে ফেলেছেন ৯৩ বছর বয়সী রানি। লম্বা এই কোটটি রানির অনেক পছন্দের ছিল এবং তিনি এটি কয়েক দশক ধরে পরছিলেন।
এই সিদ্ধান্তে খুশি বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন। পেটা-ইউকে জানিয়েছে, ব্রিটেন যে সব ফারের পোশাক বিক্রি হয়, তার ৮৫ শতাংশ আসে বিদেশ থেকে। অত্যন্ত নৃশংসভাবে মারা হয় সেই সব পশুকে।
‘এই সিদ্ধান্তের জন্য রানিকে আমাদের অভিবাদন,’ বলা হয়েছে পেটার বিবৃতিতে।
‘হিউমেন সোসাইটি’ নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর ক্লেয়ার বাসের কথায়, ‘রানির এই সিদ্ধান্তের পরে আশা করি সবাই বুঝবেন যে, ফার মানেই ফ্যাশনদুরস্ত নয়।’
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্যাশন লেবেল ইতোমধ্যেই ফারের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। এই সব সংস্থার মধ্যে রয়েছে প্রাদা ও গুচি। মার্কিন সংস্থা মেসি’জ-ও জানিয়েছে, ২০২০ অর্থবর্ষের মধ্যে তাদের সব দোকানে ফারের জিনিস বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হবে।
সপ্তাহ দুয়েক আগে ক্যালিফর্নিয়া ঘোষণা করে, সেই রাজ্যে ফারের জিনিসের উৎপাদন ও বিক্রি বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গ্রাহ্য করা হবে। -দি সান ও আনন্দবাজার পত্রিকা