বুলবুল মোকাবিলায় প্রস্তুত সাত জেলার আশ্রয়কেন্দ্র: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৩৪ পিএম

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী। ফাইল ছবি

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী। ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় উপকূলীয় সাত জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। 

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। তবে এতে ফসল ছাড়া বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা নেই। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জেলা-উপজেলা পর্যায়ে দেশের ৫৬ হাজার স্বেচ্ছারসবী প্রস্তুত রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যথাসময়ে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ঘণ্টায় সোয়াশ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে, আপাতত এর গতিমুখ সুন্দরবনের দিকে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রাখা হয়েছে। সাত জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে লোক সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় ২০০০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটার যে গতি ও যেদিকে অগ্রসর হচ্ছে তাতে আঘাত হানবে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। গতি আরও বাড়লেও যে প্রস্তুতি রয়েছে, তাতে ফসল ছাড়া বড় ধরণের ক্ষতির শঙ্কা নেই।

তিনি আরো বলেন, ৯ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাতের মধ্যে আঘাত হানতে পারে। এ জন্যে ঝড়ের ১৪ ঘণ্টা আগে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার জন্যে বলা হয় যাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও জেলা উপজেলা সংশ্লিষ্টদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে প্রস্তুতি সভায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে এনামুর জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh