নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:০১ পিএম
বাংলাদেশ নৌ বাহিনী
ঘূর্ণিঝড়
পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় নৌবাহিনী তিন স্তরের কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরায়
পাঁচটি,
চট্টগ্রামে তিনটি ও সেন্টমার্টিনে দুটি যুদ্ধজাহাজসহ নৌ
কন্টিনজেন্ট ও মেডিক্যাল টিম মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
এছাড়াও
খুলনা অঞ্চলের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনায় বানৌজা
কর্ণফুলী,
তিস্তা, পদ্মা, এলসিভিপি ০১২ ও এলসিভিপি ০১৩ মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে
চারটি নৌ কন্টিনজেন্ট যেকোনও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের
মাধ্যমে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আইএসপিআর
আরো জানায়, চট্টগ্রামে তিনটি জাহাজ বানৌজা
শাহজালাল,
শাহ পরান ও অতন্দ্র দ্রুততম সময়ে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায়
ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এরইমধ্যে বানৌজা সমুদ্র জয় ও সমুদ্র অভিযান জরুরি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনে
অবস্থান করছে। নৌবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেন্টমার্টিনে
আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
খুলনা নৌ
অঞ্চল থেকে মোতায়েন করা জাহাজগুলো বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরার
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ২০০০ প্যাকেট জরুরি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবে। যার
প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে সাড়ে ৭ কেজি চাল, দেড় কেজি ডাল, দেড় লিটার
সয়াবিন তেল, এক কেজি চিড়া, এক কেজি মুড়ি, আধা কেজি গুড়, আধা কেজি
বিস্কুট,
দুই লিটার বিশুদ্ধ পানি, দুই ডজন মোমবাতি, দুই ডজন
দিয়াশলাই এবং জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ওষুধ। এছাড়া দুর্গত এলাকাগুলোতে
জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য পাঁচটি বিশেষ মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণের কাজে নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি
চারটি নৌ কন্টিনজেন্ট যেকোনও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
ইতোমধ্যে
সেন্টমার্টিনে নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ সমুদ্র জয় ও সমুদ্র অভিযান দুই টন চিড়া, একটন মুড়ি, দুই টন চাল, দেড় টন গুড়, ৫০০ কেজি ডাল, ৭০০ কেজি চিনি, ৫০০ প্যাকেট মোমবাতি, ২৫০ ডজন দিয়াশলাই নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
একইসঙ্গে সেন্টমার্টিন্সের ফরওয়ার্ড বেইসের নৌ সদস্যরা জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ কার্য
পরিচালনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম ও ঢাকায় উদ্ভুত পরিস্থিতি
মোকাবিলায় যুদ্ধজাহাজ ও নৌ কন্টিনজেন্ট অনুরূপ ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে
প্রস্তুত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়
পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় নৌবাহিনী তিন স্তরের ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক
যোগাযোগের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।