প্রতিনিধি, লালমনিরহাট
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:৩৫ পিএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ১০:০৫ এএম
ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
চুরি হওয়ার ভয়ে তিস্তা চরের কৃষকরা তাদের উঠতি পেঁয়াজ ক্ষেত রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে এ নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে।
সরেজমিনে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা চরের হলদিবাড়ী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা রাত জেগে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দেয়া শুরু করেছে। হঠাৎ পেয়াঁজের দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেতের পেঁয়াজ চুরি যাওয়ার শঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই কষৃকরা এলাকাভিত্তিক কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে পালাক্রমে প্রতিরাত জেগে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন।
এ সময় পেঁয়াজচাষী সফিকুল ইসলাম, হাসান আলী, খোরশেদ আলম জানানসহ অনেকেই জানান, আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে তারা তাদের ক্ষেতের পেঁয়াজতুলতে ঘরে তুলতে পারবেন। পেঁয়াজ উঠার পর দুই-একদিন রোদে শুকিয়ে কৃষকরা বাজারে বিক্রি করে।
তবে ওই এলাকার কৃষক খাইরুল ইসলাম আক্ষেপের সুরে বলেন, এখন পেয়াঁজের দাম অনেক বেশি থাকলেও আমরা যখন পেঁয়াজ বাজারে তুলবো তখন দাম পাবো না। এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ৩০ থেকে ৩৫ মণ পর্যন্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। যদি প্রতি মণ পেঁয়াজ দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি করা যায় তাহলে লাভ হবে।
তিনি বলেন, কিন্তু গত বছরের মতো পেঁয়াজ মণ প্রতি এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হলে কোনো লাভ হবে না। আর লাভ কম হওয়ায় অনেক কৃষক পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বিধূ ভুষণ রায় বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠবে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলেই দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।