ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৫ পিএম | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ১০:২১ পিএম
নতুন ঋণ পেতে খেলাপিদের অতিরিক্ত হিসেবে তাদের মোট ঋণ বকেয়ার ১৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। তবে রপ্তানিকারকদের ক্ষেত্রে তা হবে মোট ঋণ বকেয়ার ৭.৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে গতকাল রবিবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
এদিকে, বিশেষ পুনঃতফসিল নীতিমালার আওতায় ঋণখেলাপিদের গণসুবিধার সময়সীমা আরো তিন মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ, খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলীকরণে আরো তিন মাস আবেদন করা যাবে। এ সংক্রান্ত আবেদনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন থাকতে হবে। একই সঙ্গে এই সুবিধাপ্রাপ্তদের নতুন ঋণ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় যে ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ নীতিমালার আওতায় নতুন করে আর কোনো আবেদন নিতে পারবে না ব্যাংকগুলো। ওই নীতিমালায় বেঁধে দেওয়া ৯০ দিনের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নতুন আবেদন গ্রহণ বন্ধ থাকলেও এই সময়সীমায় জমা হওয়া আবেদনগুলো নিষ্পত্তির বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে। পুনঃতফসিল সুবিধা নেওয়া ঋণগ্রহীতাদের নতুন করে ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ ছিল।
ওই সার্কুলারের নির্দেশ অনুযায়ী ১৯ নভেম্বরের মধ্যেই বিশেষ নীতিমালার আওতায় জমা পড়া সব আবেদন ব্যাংকগুলোকে নিষ্পত্তি করতে হতো। কিন্তু গত ৩ নভেম্বর বিগত ২০ বছরে ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা তদন্তে কমিশন গঠন এবং ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ১০ বছরের ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা প্রদানসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল বিষয়ে জারি করা রুলের রায়ে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলে ঋণখেলাপিদের এ সংক্রান্ত সুবিধা আরো ৯০ দিন বাড়াতে পারে।
আদালতের ওই রায় স্পষ্টীকরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল এই সার্কুলার জারি করে। সার্কুলার অনুযায়ী, ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালার আওতায় পুনঃতফসিল সুবিধাপ্রাপ্তদের পরবর্তী সময়ে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নতুন ঋণ দেওয়া যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ঋণ পুনঃতফসিল নিয়ে ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরের মাস্টার সার্কুলারের ৬(এ) ও ৬(বি)-তে বর্ণিত নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে। ওই সার্কুলারের ৬(এ)-তে বলা আছে, পুনঃতফসিল সুবিধাপ্রাপ্তদের নতুন ঋণ সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের মোট বকেয়ার ১৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। তবে রপ্তানিকারদের ক্ষেত্রে তা হবে ৭.৫ শতাংশ।