নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:২৮ এএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া ইস্যুতে ফের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি শূন্য পদে কর্মচারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুই সপ্তাহ আগে কমিশনে নতুন করে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে ইসি সচিবালয়ের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত না করার অভিযোগ তুলেছেন চার কমিশনার। পাশাপাশি ইসির সিনিয়র সচিবের ওপরও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এই ক্ষোভের কথা জানিয়ে চার নির্বাচন কমিশনার যৌথভাবে গতকাল রবিবার সিইসির কাছে আনঅফিসিয়াল (ইউও) নোটিস দিয়েছেন।
এতে বলা হয়, ইসি সচিবালয় ও ইসির সব বিষয়ে সংবিধানসহ বিদ্যমান সব আইন ও বিধি অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে ইসির সার্বিক নিয়ন্ত্রণ বিঘ্নিত হবে। একই সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
এই চার কমিশনার হলেন মাহবুব তালুকদার, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা-সংক্রান্ত প্রকল্পের বিষয়ে অবহিত না করার অভিযোগ তুলে এই চারজন ইসি সচিবকে ইউনোট দিয়েছিলেন। পরে বিষয়টি নিয়ে কমিশন সভায় আলোচনা হয় এবং সব কার্যক্রম কমিশনারদের অবহিত করা হবে বলে সিদ্ধান্তও হয়েছিল।
ইউনোটের বিষয়ে কমিশনার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত আমরা জানতে পারি না। সিদ্ধান্তগুলো আমাদের অবহিতও করা হয় না। এটা যাতে করা হয়, সেজন্য আমরা জানিয়েছি।
এই ইউনোটে সম্প্রতি কমিশন সচিবালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৩৩৯ জন কর্মচারী নিয়োগ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সচিবালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে চার কমিশনারকে অবহিত না করার অভিযোগ করা হয়েছে। ইউনোটে সংবিধান, আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ) ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণকে আইন ও বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, তিনি ইউনোটের বিষয়ে কিছু জানেন না। নিয়োগসহ সব সিদ্ধান্ত আইন অনুযায়ী হয়েছে। নিয়োগের বিষয়ে কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।
নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশনে গত সেপ্টেম্বরে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এমন বিরোধ দেখা দিয়েছিল। সিইসি ও ইসি সচিব ছাড়া অন্য নির্বাচন কমিশনারদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না জানানোর অভিযোগ তখনো উঠেছিল। আইন-বিধি যথাযথ অনুসরণ করা হচ্ছে না দাবি করে তখনো সিইসিকে চিঠি দিয়েছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার।
পরে ইসি সচিবালয়ের সব কার্যক্রম পরিচালনায় আইন ও বিধিমালা অনুসরণে চার নির্বাচন কমিশনারকে জানানোর বিষয়ে অফিস আদেশ হলে অসন্তোষ প্রশমিত হয়।