ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২৬ এএম
মরমী কবি হাসন রাজা।
মরমী সাধক ও কবি হাসন রাজার ৯৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
অনেকটা নিরবেই কাটছে হাসন রাজার এবারের মৃত্যুবার্ষিকী। হাওর-বাওর ও মেঘালয় পাহাড়ের পাদ দেশের জেলা সুনামগঞ্জ ‘হাসন রাজার দেশ’ হিসাবেই পরিচিত। কিন্তু মরমী এই সাধকের জীবন ও দর্শন কিংবা তার গানের চর্চা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এখানে হয় না বললেই চলে।
মরমী সাধক হাসন রাজা তার জীবনের বিভিন্ন সময়ে প্রায় কয়েক’শ গান রচনা করেছেন। হাসন রাজার গানে সহজ সরল স্বাভাবিক ভাষায় মানবতার চিরন্তন বাণী উচ্চারিত হয়েছিল।
সকল ধর্মের বিভেদ অতিক্রম করে তিনি গেয়েছেন মাটিও মানুষের গান। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও ১৯২৫ সালে কলকাতায় এবং ১৯৩৩ সালে লন্ডনে হিবার্ট বক্তৃতায় হাসন রাজার দুটি গানের প্রশংসা করেছিলেন।
‘একদিন তোর হইব রে মরণ রে হাসন রাজা’ ‘মাটির পিঞ্জিরার মাঝে বন্দি হইয়ারে কান্দে হাসন রাজা মন মনিয়া রে’, ‘প্রেমের বান্ধন বান্ধরে দিলের জিঞ্জির দিয়া’, ‘রঙের বাড়ই রঙের বাড়ই রে’, ‘আমি না লইলাম আল্লাজির নাম রে’, ‘লোকে বলে ঘরবাড়ি ভালানা আমার’, আগুণ লাগাইয়া দিলো কুনে হাসন রাজার মনে,’ সহ জনপ্রিয় অসংখ্য গানের জনক হাসন রাজা।
হাসন রাজার মৃত্যু বা জন্মতারিখ ঘিরে লালন মেলার মতো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হাসন মেলারও দাবি করেন স্থানীয় মানুষ এবং হাসন সংগীত চর্চাকারী শিল্পীরা।