ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১০:২২ এএম | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ০২:০৭ পিএম
রাবাব ফাতিমা। ফাইল ছবি
জাতিসংঘে
নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা সর্বসম্মতিক্রমে
ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার
(১৪ জানুয়ারি) জাতিসংঘ সদর দফতরে ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ড ব্যুরোর এই নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মরক্কো ও
লিথুয়ানিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ডের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি।
বুধবার
(১৫ জানুয়ারি) জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে
উল্লেখ করা হয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ফলে এখন থেকে বাংলাদেশ
শিশুদের জন্য বিশেষভাবে নিয়োজিত জাতিসংঘ সংস্থা ইউনিসেফের কর্মকান্ডে কৌশলগত
দিক-নির্দেশনা প্রদান করতে পারবে। ইতোপূর্বে ২০১৯-২০২১ মেয়াদে বাংলাদেশ
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে নির্বাহী বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়।
রাষ্ট্রদূত
ফাতিমা সম্প্রতি জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগ
দিয়েছেন। এর আগে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ২০১৯ সালে ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের
ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্বব্যাপী
শিশুরা যেসব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তা মোকাবিলাসহ ২০২০ সালকে ইউনিসেফের জন্য একটি
অর্থবহ ও কার্যকর বছরে পরিণত করতে বোর্ড সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে তাকে প্রেসিডেন্ট
নির্বাচিত করে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন সেজন্য ধন্যবাদ জানান
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। শিশুদের কল্যাণ সাধন,
উন্নয়ন ও অধিকার সুরক্ষার জন্য এই
নির্বাহী বোর্ড নতুন নতুন ধারণা ও কৌশল সৃজনে নিবেদিতভাবে কাজ করবে মর্মে
প্রতিশ্রুতির কথা জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। শিশুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে
ইউনিসেফ গৃহীত বিভিন্নমূখী পদক্ষেপসমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। অন্য কাজের
পাশাপাশি সেবা গ্রহণকারী দেশসমূহের প্রাধিকার ও প্রয়োজনভিত্তিক কর্মকান্ডে
ইউনিসেফের সেবা আরও নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করবে বলে জানান
স্থায়ী প্রতিনিধি।
ইউনিসেফের
নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তার
অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার আলোকে ইউনিসেফ আলোকিত হবে। নতুন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে
নির্বাহী বোর্ডের দিক-নির্দেশনা ইউনিসেফের কাজকে আরও গতিশীল করবে মর্মে আশাবাদ
ব্যক্ত করেন মিজ ফোর।