ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৫৯ এএম | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:৫৫ এএম
করোনাভাইরাস
চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে এ পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সংক্রমিত হয়েছে অন্তত পাঁচ শতাধিক।
এদিকে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
চীনের বাইরে থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ম্যাকাউ ও হংকংয়ে ভাইরাসটির বিস্তার ঘটেছে। এছাড়া মঙ্গলবার নতুন এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রেও।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার কথা ভাবছে।
কিন্তু এ ভাইরাসটির প্রকৃতি ও কিভাবেই বা তা রোধ করা যেতে পারে- এ সম্পর্কে এখনো বিজ্ঞানীরা বিশদভাবে জানার চেষ্টা করছেন।
গত বছরের শেষ দিকে চীনে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে ভাইরাসটির উদ্ভব হওয়ার পর বেইজিং এবং বৃহত্তম শহর সাংহাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রদেশটিতে জনসমাবেশ নিরুৎসাহিত করা ও হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কঠোর করার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে কর্তৃপক্ষ এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এছাড়া সেখানে গণপরিবহনও রন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস - যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯-এনসিওভি। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র সাতটি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি হয়তো ইতিমধ্যেই 'মিউটেট করছে' অর্থাৎ নিজে থেকেই জিনগত গঠন পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিচ্ছে - যার ফলে এটি আরো বেশি করে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি অত্যন্ত দ্রুত ছড়াতে পারে এবং সোমবারই বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে এ ভাইরাস একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে ছড়াতে পারে।
এই ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেক জনের দেহে ছড়ায়। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। -বিবিসি