রুবানা শারমীন লুপা
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৩২ এএম
ছবি: সংগৃহীত।
মানুষের আয়ু হ্রাস, মৃত্যু ও স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ ধূলিকণা। এই ধুলা থেকে বাঁচতে চাইলে শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সী প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলো আমরা অনেকেই মাস্ক ব্যবহারে হেলাফেলা করি; অনেকে আবার ভুলভাবেও মাস্ক পরে থাকি।
নিজের সুরক্ষায় জেনে নেই মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়মটি
কোনো ভাইরাস যেন না ছড়ায় মূলত সে কারণেই আমরা মাস্ক ব্যবহার করি। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হলো ‘সার্জিক্যাল মাস্ক’। এটা ওয়ান টাইম ব্যবহার করতে হয়। এগুলোতে অনেক লেয়ার থাকে। বাজারে এক লেয়ারের যে মাস্ক পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করা ঠিক নয়।
১. সার্জিক্যাল মাস্কের দুটি দিক থাকে। সামনের দিকটা হালকা নীল রঙের এবং পেছনের দিকটা সাদা রঙের। সাদা অংশটা ফিল্টার, যা ভেদ করে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে না।
২. যারা সুস্থ আছেন এবং ভাইরাস বা বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করতে চান, তারা সাদা অংশটি বাইরে রেখে মাস্ক পরবেন। কেননা সাদা অংশ দিয়ে ফিল্টার করেই বাতাস ফুসফুসে ঢুকবে। নীল অংশটি মুখের ভেতরে থাকবে। অথচ বেশির ভাগ মানুষই সাদা অংশটি মুখের ভেতরে রাখেন।
৩. অন্যদিকে যারা ঠান্ডা, জ্বর, হাঁচি, কাশি বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত, তারা নীল অংশটি বাইরে রেখে মাস্ক পরবেন। এতে তার মুখ থেকে ক্ষতিকর কিছু বাইরে বের হতে বাধা পারবে এবং তার কাছাকাছি থাকা অন্যরাও সহজে আক্রান্ত হবেন না।
৪. অনেকে মাস্ক পরার সময় নাক খোলা রেখে শুধু মুখ ঢেকে রাখে। এমনটা করা উচিত নয়; বরং মাস্কের ওপরের মোটা বর্ডার অংশটাকে নাকের সঙ্গে চেপে এবং নিচের অংশটাকে থুতনির নিচে নিয়ে পুরো নাক-মুখ উভয়ই ঢেকে রাখতে হবে।
৫. অনেকে মাস্ক থুতনি পর্যন্ত খুলে রেখে কথাবার্তা বলেন। এটাও ঠিক নয়। এতে লেগে থাকা জীবাণু সহজেই দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
৬. অনেকে শুধু নাক ঢেকে মুখ খুলে রাখেন, এটাও ঠিক নয়।
৭. কথা বলার সময় অনেকে মাস্ক পুরো না খুলেই কথা বলেন। এটা ভুল। মাস্ক পুরোপুরি খুলেই কথা বলতে হবে।
৮. একই মাস্ক ঘরে রেখে দিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন না। নিয়ম হলো, একটি মাস্ক সর্বোচ্চ ‘একদিন’ ব্যবহার করে সেটাকে ধ্বংস করে ফেলা।