ট্রাম্পের সফরের মধ্যেই রণক্ষেত্র দিল্লি, পুলিশসহ নিহত ৪

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৪৩ এএম | আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৪৮ এএম

সোমবার নয়াদিল্লির ভজনপুরা এলাকায় বিক্ষোভ-সংঘর্ষ। ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা

সোমবার নয়াদিল্লির ভজনপুরা এলাকায় বিক্ষোভ-সংঘর্ষ। ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দিল্লিতে তীব্র বিক্ষোভে পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছে।

গতকাল সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠা উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভজনপুরা, মৌজপুর ও জাফরাবাদে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ১০ জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।

এ ঘঠনায় অপর ৫০ জন আহত হয়েছে। একজন ডেপুটি পুলিশ কমিশনারসহ নিরাপত্তারক্ষী অনেকে আহত হয়েছেন। সন্ধ্যায় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন ও ১৪৪ ধারা জারির পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে সোমবারই দুইদিনের সফরে ভারতে এসেছেন সস্ত্রীক ট্রাম্প। সন্ধ্যায় আগ্রা থেকে তিনি দিল্লি যান। তার মধ্যেই এমন ঘটনা উত্তেজনা বাড়িয়েছে। 

অভিযোগ উঠেছে, বিজেপির এক নেতা কপিল মিশ্রই তার সমর্থকদের নিয়ে বিক্ষোভস্থলতে মিছিল করতে থাকেন। তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় আর দুই তরফেই ব্যাপক ইট-পাথর ছোঁড়া শুরু হয়।

পূর্ব দিল্লির কয়েকটি এলাকায় রবিবার থেকে নতুন করে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী প্রতিবাদ শুরু হওয়ায় কাল থেকেই সেখানে বিক্ষোভকারী আর বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছিল। রবিবারও দুই তরফের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

সিএএবিরোধী আন্দোলন ঘিরে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে এই প্রথম দিল্লিতে চারজন প্রাণ হারালেন। মৌজপুরে পাথরের আঘাতে পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লালের মৃত্যু হয়। এরপর বিকেলে চাঁদবাগে ফুরকান আনসারি (৩২) নামে এক ব্যক্তি মারা যান। রাতে গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে মারা যান শহীদ নামে এক যুবক। অজ্ঞাতপরিচয় আরো একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। সূত্রের খবর, আহত হয়ে তেগবাহাদুর হাসপাতালেই ভর্তি অন্তত ২০ জন।

উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক জায়গায় নতুন করে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে। সোমবার দুপুরেও জাফরাবাদের গোকুলপুরি, ভজনপুরা এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে সিএএ’র সমর্থকরা সেখানে হাজির হয় । তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাস্তাতেই দু’পক্ষে সঙ্ঘর্ষ বেধে যায়। একে অপরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি হতে থাকে। বেশ কিছু গাড়িও দোকানে আগুন দেয়া হয়। একটি পেট্রোল পাম্পেও আগুন ধরানো হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের একটি বাহিনী। লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। তাতে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। 

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপরাজ্যপালের কাছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আর্জি জানিয়েছিলেন। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। রতন লালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন সোনিয়া। -আনন্দবাজার পত্রিকা ও বিবিসি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh