শিশুতোষ চলচ্চিত্রে আগ্রহ নেই পরিচালকদের

আশরাফুল ইসলাম আকাশ

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:২৬ এএম

শিশুদের চলচ্চিত্রের কথা উঠলে হাতেগোনা কয়েকটির কথাই সামনে আসে। গুপী গাইন বাঘা বাইন, ছুটির ঘণ্টা, দীপু নম্বর টু, বাড়ি থেকে পালিয়ে, এমিলের গোয়েন্দাবাহিনী কিংবা আমার বন্ধু রাশেদ। 

তখনকার শিশুদের মনের খোরাক মিটিয়ে মুগ্ধ করছে এই প্রজন্মকেও। দিন যত যাচ্ছে, চাহিদা কিংবা চারপাশের চিত্র পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু এখনকার শিশুমন, কল্পনা ও চারপাশের জগত নিয়ে শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে কি? 

দেশে তো হচ্ছেই না, যেন এসব নিয়ে ভাবারও সময় নেই কারো! অথচ হলিউড, বলিউডে শিশুদের কথা মাথায় রেখে প্রতি মাসেই মুক্তি পাচ্ছে চলচ্চিত্র। শিশুদের সুস্থ বিনোদনের কথা মাথায় রেখে ওপার বাংলাও পিছিয়ে নেই।

অথচ আমাদের দেশে শিশুতোষ চলচ্চিত্র নিয়ে পরিচালক-প্রযোজকদের মাঝে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যায় না। 

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি অনুদান না পেলে কেউ সিনেমা বানাতে চায় না। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অভিভাবকদের অসচেতনতা এ ধরনের ছবির বাজার তৈরি না হওয়ার একটি বড় কারণ। বাজেট, গল্প ও নির্মাতাদের আগ্রহের অভাব তো রয়েছেই।

শিশুতোষ চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম বলেন, এখন কোনো অভিভাবকই শিশুদের নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখেন না। অথচ এক সময় পড়াশোনা, খেলাধুলার পাশাপাশি সিনেমাটাও থাকতো। অভিভাবক ও সরকারের সহযোগিতা থাকলে ভালোমানের শিশুতোষ চলচ্চিত্রের সংখ্যা বাড়বে।

চলচ্চিত্র পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, বাচ্চাদের ছবি অনেক কমে গেছে। শুধু কি ওদের? বাণিজ্যিক সিনেমারও অবস্থাও তো খারাপ। 

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা ‘চিল্ড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ’ এর কাজী মাহমুদুল হক লিংকন বলেন, আমরা শিশুদেরকে নিয়ে নানান কর্মশালা, নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও তাদের নির্মিত কাজগুলো আন্তর্জাতিকভাবে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে আমাদের আয়োজনে ১৩তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। যেখানে অংশগ্রহণ করেছে ৩৯টি দেশ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh