রুবাইয়া রীতি
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৩৩ এএম
ডাক্তাররা বলেন রাতের খাবার অনেক হালকা হতে হবে। রাতের খাবার হালকা হওয়া প্রয়োজন এই কারণে, অতিরিক্ত যা খাওয়া হয় তা সহজে গায়ে লাগে। তাই দেরি না করে দ্রুত রাতের খাবার শেষ করাই উত্তম।
রাতে ঘুমানোর অন্তত পক্ষে ২-৩ ঘণ্টা আগে শেষ করতে হবে। খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লে হজমে সমস্যা হয়। তাই খাবার এমন হতে হবে যেন সহজে হজম ও পরিপাক হয়। তাই রাতের খাবারের সময় হবে রাত ৮টা থেকে ৮.৩০ মিনিট।
তবে রাতের খাবার এড়িয়ে চলা যাবে না। রাতের খাবার এড়িয়ে চললেই শারীরিক সমস্যা শুরু হবে ও এতে সবার প্রথমে এসিডিটি ও ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
রাতে নির্বাচন করতে পারেন নিচের খাবারগুলো-
এক বেলার খাবার : ২ টুকরো লাল আটার রুটি, সঙ্গে মিক্সড ভেজিটেবল (আলু ছাড়া) ও একটি ডিম অথবা মাছ অথবা দেশি মুরগির মাংস। এর সঙ্গে সালাদ থাকা জরুরি। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শর্করা, আমিষ, ফ্যাট, মিনারেলস, ভিটামিনস সব আছে।
স্যুপ : রুটির বদলে স্যুপও খাবেন, যা মিক্সড ভেজিটেবল হবে। এতে যদি ডিম বা মাংস দেয়া না থাকে তাহলে সঙ্গে সিদ্ধ ডিম খাবেন। সালাদ ও টক দই খাবারের লিস্টে রাখবেন। কারণ এসব খাবার সহজে হজম ও পরিপাকযোগ্য।
ওটমিল : যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা ওটমিল রাতের খাবারে খাবেন। কারণ এতে উচ্চ ফাইবার থাকার কারণে খাবার সহজে হজম হয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। রেসিপি ( সিদ্ধ ওটস, টকদই ও কাঠবাদাম)।
ভাত : যারা একেবারেই ভাত ছাড়া চলতে পারেন না, তারা ভাতের পরিমাণ এক কাপের বেশি খাবেন না। ভাতের সঙ্গে মিক্সড ভেজিটেবল ও সালাদ খাবেন বেশি করে। এর সঙ্গে খাবেন মাছ/মাংস/ডিম। তবে লাল মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
রাতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন সেগুলো হলো- অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার, লাল মাংস, কোল্ড ড্রিংকস, কার্বোনেটেড বেভারেজ, চিনি, অতিরিক্ত লবণ, বাইরের ভাজাপোড়া খাবার, বিরিয়ানি ইত্যাদি।
এসব স্বাস্থ্যকর পরামর্শ মেনে চললেই আপনি সুস্থ ও ফিট থাকবেন।