টাঙ্গাইলে কবিতা উৎসবে এসে অভিভূত ভারতীয় কবিরা

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২০, ১২:৪৪ পিএম

ছবি: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

ছবি: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা পাঠের উৎসবে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ-ভারতের কবিরা অভিভুত। বিশেষ করে ভারতীয় কবিদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। 

টাঙ্গাইলে পঞ্চমবারের মতো তিনদিনব্যাপী দুই বাংলার কবিতা উৎসব পালিত হচ্ছে। 

টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শত কবিদের উপস্থিতিতে বেলুন উড়িয়ে কবিতা উৎসব উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং দৈনিক আজকের দেশবাসী পত্রিকার সম্পাদক ফজলুর রহমান খান ফারুক।

ভারতের কেস্টপুর থেকে আসা কবি অরুপ পান্তি বলেন, বাংলাদেশে আমি এ নিয়ে ১১ বার এসেছি, বাংলাদেশে সাহিত্য চর্চায় বিষয় অন্যরকম, তা মুখে বলে শেষ করা যাবে না। বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় এরকম একটি কবিতা পাঠের উৎসব আমাকে অভিভুত করেছে। এখানে যে আয়োজন করা হয়েছে তা বাংলাদেশের কোনো জেলাতে দেখিনি। শুধু বাংলাদেশেই না আমাদের ভারতেও তেমন একটা চোখে পরে না। 

তিনি বলেন, আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। একটি সাহিত্য অনুষ্ঠানে আমাদের ভারতেও এরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। 

কবি ড. ভারতী বন্দোপ্যাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশে ১৩ বার আসলেও টাঙ্গাইলে প্রথম। কবিতা উৎসব এতো উন্মুক্ত ও মনোরম পরিবেশে হতে পারে তা টাঙ্গাইল না আসলে বুঝতে পারতাম না। আর বাংলাদেশের আতিথেয়তার কথা বলার প্রয়োজন নেই। এখানে এসে খুব সম্মানিত হয়েছি।

তিনি বলেন, আমি সকল ধরনের কবিতা পাঠ করে থাকি। এখানেও আশা করি কয়েকটি কবিতা পাঠ করবো।

বাংলাদেশি কবি যুগল পদ সাহা বলেন, টাঙ্গাইলের কবিতা উৎসবে জন্ম থেকেই আসছি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মঞ্চে দাড়িয়ে কবিতা বলার শক্তি ও সাহস হয় না। তারপরও এবার চেষ্টা করবো কবিতা পাঠ করার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিনটি কবিতা লিখছি। এগুলো পাঠ করার ইচ্ছা রয়েছে ও পাঠ শেষে তা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির হাতে তুবে দেবো।

অনুষ্ঠান পরিচালনা বিষয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় খুব সুন্দর করে অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে। পরিচালনা ব্যবস্থাও খুব সুন্দর হচ্ছে।

রংপুর থেকে আসা কবি সরোজ দেব বলেন, টাঙ্গাইলে এ পর্যন্ত চারবারের মতো কবিতা উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। টাঙ্গাইলকে কবিতার উর্বব ভুমি বলা হয় আর এমনিতেই সাংস্কৃতিকমনা এই জেলা। এই কবিতা উৎসবে মুলত দুই দেশের অনেক কবিরাই অংশগ্রহণ করে। এতে তাদের সাথে বাংলাদেশের কবিদের মনের সম্পর্ক আর দৃঢ় হয়।

তিনি বলেন, এখানে শুধু কবিতা পাঠই নয়, কবিদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। এরকম অনুষ্ঠান প্রতিবছরই আয়োজন করা উচিত। এরকম উন্মুক্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনেক নতুন প্রতিভা বেড়িয়ে আসবে ও কবিতার প্রতি মানুষে আগ্রহ সৃষ্টি হয়ে কবি সৃষ্টি হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh