ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২০, ০৫:২৭ পিএম | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০, ০৫:৩২ পিএম
তাবলিগ জামাতের ৩৫ জন সদস্যের মধ্যে ২৭ জনের দেহেই মিলেছে করোনাভাইরাস। কোয়ারেন্টিনে রাখার সময় এদের মধ্যে একজন পালাতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে আহত করেছেন।
রবিবার (২৯ মার্চ) পাকিস্তানের পাঞ্জাবের রাইউইন্ডি শহরের তাবলিগ জামাতের মারকাজে এ ঘটনা ঘটে। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ শতাধিক বিদেশিসহ প্রায় এক হাজার ২০০ লোক ওই মারকাজে ৫ দিনের একটি ধর্মীয় সম্মেলনে যোগ দেন।
এখান থেকে তাদের কারো কারো তিন দিন বা ৪০ দিনের (চিল্লা) জন্য ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় যাত্রা করার কথা ছিলো। তারা মারকাজে সংলগ্ন একটি খোলা জায়গায় তাঁবু ফেলে অবস্থান করছেন।
পাঞ্জাবের সরকারি কর্মকর্তারা ভাইরাসের হুমকির বিষয়টি বিবেচনা বরে তাবলিগ নেতাদের এই সম্মেলন স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারা তাতে কর্ণপাত করেননি।
কিন্তু তারা যখন চারদিন আগে সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণা দেন তখন ওই অঞ্চলে লকডাউন চলছিলো। ফলে সেখানে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা আর ফেরত যেতে পারেননি।
এদিকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশের পর তাবলিগ জামাতের এক ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। এ ঘটনার পর থেকে মারকাজ ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
গত তিনদিন ধরে সেখান থেকে কাউকে বের হতে ও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
লাহোরের জেলা প্রশাসক দানিশ আফজাল সংবাদমাধ্যম ডনকে বলেন, আমরা মারকাজে কোয়ারেন্টিন স্থাপন করছি। রোগীর সংখ্যা বাড়লে তাদের কালা শাহ কাকু কোয়ারেন্টিন সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হবে।
পাকিস্তানে এক হাজার ৬শ’ ৬৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২১ জন।