শিশুদেরও ব্যস্ত রাখুন

ফারজানা শশী

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২০, ০৯:২৭ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০, ১০:৩৪ এএম

এখন শিশুরা ২৪ ঘণ্টা চার দেয়ালে বন্দি। স্কুল, টিউশন বন্ধ। সাঁতার-গান-নাচও বন্ধ। বিকেলে খেলাধুলো বা পার্কে যাওয়ারও উপায় নেই। এই অবস্থায় বিষণ্ণতা যেন তাদের না স্পর্শ করতে পারে অভিভাবকদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

শিশুদের বুঝিয়ে বলুন ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ কী আর এই পরিস্থিতিতে এর যৌক্তিকতাইবা কী। তাহলে চার দেয়ালের মধ্যে আটকে থাকার গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বাড়বে ওদের মধ্যে। 

১. ৩-৫ বছর বয়সী শিশুর মধ্যে কিন্তু মৃত্যু সম্পর্কে একটা অস্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়ে যায়। ওদের সামনে মৃত্যু নিয়ে বেশি আলোচনা না করাই বাঞ্ছনীয়। অপরিণত মস্তিষ্কে মৃত্যুভয় বাসা বাঁধতে পারে এতে। তারচেয়ে বরং সবসময় হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করুন।

২. বাড়ির অন্য সকলে যেমন সংসারের সমস্ত কাজ ভাগ করে করছেন, আপনার সন্তানটিকেও তার বয়স ও ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দিতে পারেন। সকলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করাটা হয়তো ওর কাছে উপভোগ্যই হবে! 

৩. বাড়ির কাজের পাশাপাশি ছবি আঁকা, বাগান করা, গল্পের বই পড়ার মতো কোনো শখ যেটা ঘরে বসেই করা যায় এমন কিছুতে বেশি করে উৎসাহিত করুন।

৪. বছরের আর পাঁচটা দিনের চেয়ে অভিভাবকদের হাতে কিন্তু একটু বেশিই সময় আছে সন্তানকে দেয়ার মতো। তাই এই সময় চেষ্টা করবেন, একসঙ্গে বসে কিছু খেলতে বা মজার কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে। এটা ওদের কাছে অনেক বেশি উপভোগ্য হবে।

৫. শিশুর অতিরিক্ত কার্টুন বা মোবাইল গেমসের নেশা কাটিয়ে ফেলার সুযোগ কিন্তু এখনই। অনেকটা সময় হাতে পাচ্ছে যখন, তখন ওর মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পাঠ্যবইয়ের বাইরেও নানা বই পড়ার স্বভাব পরবর্তীতে ওর বেশ উপকারেই আসবে!

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh