করোনা সংকটেও উদীয়মান অর্থনীতির শীর্ষ দশে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২০, ০৯:৫৬ এএম

করোনাভাইরাস মহামারির সময়েও বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির তালিকায় বাংলাদেশকে নবম শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও বৈশ্বিক সম্পর্ক বিশ্লেষণের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা দ্য ইকোনমিস্ট।

চারটি নির্বাচিত খাতের অর্থনৈতিক দুর্বলতা পরীক্ষা করে এ তালিকা করা হয়েছে। সেগুলো হলো- সরকারি ঋণ জিডিপির কত শতাংশ, বৈদেশিক ঋণ (সরকারি ও বেসরকারি উভয়ই), ঋণ গ্রহণের ব্যয় ও রিজার্ভের আওতা।

উল্লেখিত চারটি সূচকেই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী বা তুলনামূলকভাবে ভালো হিসেবে দেখানো হয়েছে। 

বিশ্বের ৬৬টি দেশের এই তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে নবম স্থানে, যা চীন ও ভারতের চেয়েও ভালো। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কেবল বাংলাদেশের নামই তুলনামূলক নিরাপদে থাকা দেশের তালিকার শীর্ষ দশে এসেছে।

ইকোনমিস্ট লিখেছে, করোনাভাইরাসের মহামারীর অভিঘাতে কোন দেশ অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে এবং কোন দেশ তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থায় আছে, তা বুঝতে এই তালিকা করেছে তারা।


করোনাভাইরাস সঙ্কটে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ অবস্থায় থাকা শীর্ষ দশ হল- বতসোয়ানা, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, পেরু, রাশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, বাংলাদেশ ও চীন।

আর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দশ দেশ হল- ভেনেজুয়েলা, লেবানন, জাম্বিয়া, বাহরাইন, অ্যাঙ্গোলা, শ্রীলঙ্কা, তিউনিশিয়া, মঙ্গোলিয়া, ওমান ও আর্জেন্টিনা।

৬৬ দেশের এই তালিকায় ভারত ১৮, পাকিস্তান ৪৩ এবং শ্রীলঙ্কা ৬১তম অবস্থানে রয়েছে।

তালিকার শীর্ষে আছে বতসোয়ানা এবং ভেনেজুয়েলা রয়েছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে।

ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সের বরাতে দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, উদীয়মান এসব অর্থনীতির দেশের বন্ড ও শেয়ারবাজার থেকে করোনা ভাইরাসের এই গত চার মাসে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি তুলে নিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। যা ২০০৮ সালের বিশ্বমন্দার সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি।

উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো সম্মিলিতভাবে সরকারি ঋণের পরিমাণ ১৭ টিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট ঋণের প্রায় ২৪ শতাংশ।

ইকোনমিস্ট জানিয়েছে, কভিড-১৯ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে অন্তত তিনভাবে। ১. লকডাউনের কারণে মানুষ ঘরে থাকতে বাধ্য হওয়ায় উৎপাদনও বন্ধ থাকছে। ২. বিশ্বজুড়ে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় রফতানি আয় কমে যাচ্ছে। ৩. আর বিশ্বের বড় একটি অংশ বেকায়দায় থাকায় বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহেও টান পড়ছে।   

সঙ্কট মোকাবেলা করতে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর অন্তত আড়াই ট্রিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হতে পারে বলে ইকোনমিস্টের ধারণা। আর এই টাকা তাদের সংগ্রহ করতে হবে বিদেশ থেকে, অথবা নিজেদের রিজার্ভ ভেঙে চলতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh