ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২০, ০১:৩১ পিএম
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, এতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে যথাক্রমে তিন গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলালেবুর চেয়ে ১৫-২০ গুণ, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ, আমের চেয়ে ২৪ গুণ ও কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
চলুন জেনে নিই আমলকির ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে:
১. আমলকির রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- চোখের প্রদাহ, চোখ চুলকানো বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। আমলকি চোখ ভালো রাখার জন্য উপকারি। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিকেল, যা চোখের সঙ্গে জড়িত ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
২. আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়া এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
৩. এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দুবার খেতে পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
৪. আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার হজমে সাহায্য করে।
৫. প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৬. আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি মাথায় খুসকির সমস্যা দূর করে এবং চুল পাকা প্রতিরোধ করে।
৭. প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয়। দাঁত শক্ত থাকে। আমলকি মুখের রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও ক্ষুধা বাড়ানোর জন্য আমলকি গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
৮. এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকি অনেক উপকারি। ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার জন্য আমলকির জুস খেতে পারেন।
৯. এটি শরীর ঠান্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশি মজবুত করে। এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকির আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
১০. ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এটি।