মাহমুদ সালেহীন খান
প্রকাশ: ১২ মে ২০২০, ০৯:৩৮ এএম
আজ ১৮ রমজান। মাগফিরাতের ১০ দিনের শেষ দিকে রয়েছি সবাই। মাগফিরাত শব্দের অর্থ মাফ, ক্ষমা, মার্জনা প্রভৃতি।
মাগফিরাতের ১০ দিন শেষের দিকে হলেও এর পরিধি পুরো রমজানব্যাপী। সমগ্র মাসজুড়ে ক্ষমা অবারিত। এ মাসের সম্মানে করুণার উৎস মহান আল্লাহ প্রতিদিন অসংখ্য বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।
আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও একাগ্রতা সহকারে পুণ্যের প্রত্যাশায় মাহে রমজানের রোজা পালন করবে, তার অতীত জীবনের সমুদয় গুনাহ ক্ষমা করা হবে। আর যে ব্যক্তি রমজানের রাতে (তারাবির) নামাজে দাঁড়াবে, তার পূর্বের পাপরাশি মিটিয়ে দেয়া হবে।’ (বুখারি -১৯০১)
মহান রাব্বুল আলামিন অনন্ত ও অসীম গফুর, গাফফার, দয়ালু ও রহিম, রহমান। বান্দার প্রতি তাঁর আযাব-গযবের চেয়ে ক্ষমা ও রহমতই প্রবল। আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘তোমরা নিজ পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাতের দিকে ধাবিত হও। যার সীমানা আসমান-জমিন; যা তৈরি করা হয়েছে তাকওয়াবানদের জন্য।’ (আল ইমরান-১৩৩।)
আল্লাহ আরো বলেন, ‘হে রাসুল আপনি বলুন- হে আমার ওই বান্দাগণ! যারা নিজেদের আত্মার প্রতি অবিচার করেছো, তোমরা আল্লাহ অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হইও না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন। নিশ্চয় তিনিই ক্ষমাশীল, দয়ালু।’ (আয-যুমার :৫৩]
মাগফিরাতের আর অল্প যতটুকু সময় আমাদের হাতে রয়েছে, তা কাজে লাগাতে হবে। এমনভাবে সিয়াম সাধনা ও ইবাদতের পসরা সাজাতে হবে, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা আকর্ষণ করে। এটাও আশা করি যেন, আল্লাহ যেন আমাদের পাপপঙ্কিলতা ধুয়ে আমাদেরকে নিষ্পাপ করেন।