মাহমুদ সালেহীন খান
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২০, ০৯:১৫ এএম
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই আমাদের দেশেও সরকারি ছুটি শিথিল হয়েছে। শহরগুলো আস্তে আস্তে চেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে। তারপরও অনেকের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে, তবু এখন থেকেই অনেকেই পরিকল্পনা করছেন সাধারণ ছুটি শেষ হলে কে কী করবেন, সেই তালিকাও ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
আমরা তিন মাস ধরে যে জীবনযাপনে অভ্যস্ত হচ্ছি, তা থেকে বেরিয়ে পরিচিত জীবনে হুট করে ফিরে যেতে পারব কি? পুরো বিশ্ব এখনো করোনাভাইরাস মুক্ত হয়নি। দেশের অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে সরকারি ছুটি শিথিল করা হচ্ছে। অথবা একটা সময় উঠে যাবে; কিন্তু তারপরও সচেতন নাগরিক হিসেবে, নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে নিজেদের বিভিন্ন পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হবে।
যে কাজগুলো থেকে আগামী কয়েক মাস বিরত থাকবেন সেগুলো হচ্ছে:
১. অফিসে, শপিংমল বা যেখানেই যান মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহার করবেন সবসময় নিজের নিরাপত্তার জন্য।
২. ভ্রমণে সচেতন থাকতে হবে। অপ্রয়োজনে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা আগামী কয়েক মাস স্থগিত রাখুন। অকারণে কোথাও যাওয়া থেকে যতোটা সম্ভব বাড়িতে থাকার চেষ্টা করবেন।
৩. হাত ধোয়ার যে অভ্যাস এই সময়টাতে তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে। বারবার হাত ধুলে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি অন্য অসুখ-বিসুখও কম ছড়ায়।
৪. আড্ডা কিংবা পার্টি ছাড়া যারা থাকতে পারেন না, তাদের এই সময়টা নিশ্চয় খুব কষ্ট হচ্ছে; কিন্তু কিছু করার নেই। পার্টি করতে চলে যাবেন না। অনেক মানুষের ভিড় আগামী কয়েক মাস এড়িয়ে চলুন।
৫. মুখ না ঢেকে হাঁচি-কাশি দেবেন না। প্রকাশ্য স্থানে মুখ না ঢেকে হাঁচি-কাশি দেয়া এমনিই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তাই রুমাল বা টিস্যু হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় অবশ্যই ব্যবহার করবেন।
৬. যে কোনো বিপর্যয় এড়াতে অল্প অল্প করে কিছু টাকা সঞ্চয় করুন এখন থেকে। অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা থেকে বিরত থাকুন।
৭. বাড়ির বয়স্ক ও শিশুদের খাবারের ব্যাপারে সচেতন হউন। বাইরের খাবার পরিহার করুন। অপ্রয়োজনে তাদের বাড়ির বাইরে নিয়ে যাবেন না।
৮. ঘনঘন কেনাকাটার জন্য শপিংমল কিংবা বাজারে না যাওয়াই ভালো। মাসিক বাজারে অভ্যস্ত হওয়া প্রয়োজন।