নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২০, ০৮:৩১ পিএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২০, ১২:৩৬ পিএম
দ্বিতীয় দফায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মে) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টের মাধ্যমে সংক্রমণের বিষয়টি জানান মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে শাহরিয়ার লেখেন, ‘আক্রান্ত হওয়ার ১৩ দিনের মাথায় কভিড-১৯ টেস্ট আবারো পজিটিভ। ফুসফুসে গভীর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আশঙ্কা সত্যি হয়ে গেল। ঘরের অন্য সদস্যদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। রাতের অন্ধকারের পর আসে ভোরের সূর্য। আলোকিত হয়ে ওঠে সবকিছু। ইনশাআল্লাহ বিশ্বাস করি, আবার সব আগের মতোই হবে।’
‘মনোবল শক্ত আছে; কিন্তু কি যেন... পরিবারের সব সদস্যকে অমানবিক এক যন্ত্রণায় ফেলে দিলাম। রাব্বুল আলামিন সবাইকে হেফাজত করুন; ধৈর্য ধরার তৌফিক দিন। সারাদেশে সবাই আমাদের জন্য যে প্রার্থনা করেছেন তা আশীর্বাদ হয়ে থাকবে।’
গত ১৩ মে করোনার টেস্টে অধিদফতরের আলোচিত এ কর্মকর্তার কভিড-১৯ পজিটিভ আসে। এরপর তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত ২০ মে তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানা এবং মেয়ে তাইফা নূহা আশী (১২) ও ছেলে তানজিন শাহরিয়ার আরিফের (১০) করোনা টেস্টের পজিটিভ ফল আসে। তারাও এখন বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
এখন পর্যন্ত ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বাবলু কুমার সাহাসহ মোট ১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তারা হলেন- অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতি সচিব) বাবলু কুমার সাহা, উপপরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, উপপরিচালক আতিয়া সুলতানা, আফরোজা রহমান, সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা, রজবী নাহার রজনী, তাহমিনা বেগম, রোজিনা সুলতানা,মাহমুদা আক্তার, অধিদফতরের সহকারী হিসাব রক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, নমুনা সংগ্রহকারী আব্দুল কুদ্দুছ, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আব্দুল ওয়াহেদ, মহাপরিচালকের গাড়িচালক সোহেল আহমেদ, প্রধান কার্যালয়ের গাড়িচালক মিলিয়া খানম এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের গাড়িচালক মো. শরীফ মিয়া।