এক্সিম ব্যাংকের এমডিকে গুলি

সিকদার গ্রুপের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২০, ১২:২২ পিএম | আপডেট: ২৮ মে ২০২০, ১০:৩৬ এএম

এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া

এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া

এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে সিকদার গ্রুপের দুই পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। 

পাশাপাশি তারা পদস্থ দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে বনানীর একটি বাসায় জোর করে আটক রেখে নির্যাতন করেন এবং সাদা কাগজে সই নেন। 

গুলশান থানায় এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় এই অভিযোগ করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৬ মে) রাতে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই দুই পরিচালক হলেন- সিকদার গ্রুপের মালিক জয়নুল হক সিকদারের ছেলে এবং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদার। মামলা দায়ের পর থেকে দুই ভাই পলাতক আছেন।

রন হক সিকদার

মামলার ব্যাপারে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা নেয়া হয়েছে। এই মামলার দুই আসামি পলাতক আছেন। তাদের পেলেই গ্রেফতার করা হবে।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ মে। আর এক্সিম ব্যাংক মামলা করেছে গত ১৯ মে। পুরো ঘটনাটি ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব নিয়ে। এই ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনের নামে এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে ডেকে আনা হয়েছিল। এ সময় জামানত হিসেবে ওই সম্পত্তির বন্ধকি মূল্য কম উল্লেখ করেন ব্যাংকটির এমডি ও অতিরিক্ত এমডি। এরপরেই গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার ব্যাংকটির এমডির কাছে একটি সাদা কাগজে জোর করে সাক্ষর নেন। সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের সাথে তার ছবিও তোলা হয়।

এজাহারে বলা হয়, এক্সিম ব্যাংকের এমডি, এএমডি ও দুই চালককে প্রায় ৫ঘণ্টা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছেড়ে দেয়া হয়।

মামলা করতে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে এজাহারে বলা হয়, বিস্তারিত জেনে ও ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে অভিযোগ দাখিল করতে বিলম্ব হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh