পুনঃপ্রচারিত নাটকে আক্ষেপ নেই নির্মাতা-অভিনেতাদের

আশরাফুল ইসলাম আকাশ

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২০, ০৮:৩৭ এএম

নাটকের একটি দৃশ্যে অপূর্ব ও মম।

নাটকের একটি দৃশ্যে অপূর্ব ও মম।

প্রতি বছর ঈদকে ঘিরে টেলিভিশনগুলোতে থাকে নানান আয়োজন। নাট্য পরিচালক কলাকুশলীরা ব্যস্ত সময় পার করেন রোজার বেশ আগে থেকেই; কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস পাল্টে দিয়েছে ঈদের চিরচেনা এই দৃশ্যপট। বদলে দিয়েছে বিনোদন অঙ্গনের পরিবেশও। নির্মিত হয়নি ঈদের জন্য নাটক। এতে নতুন নাটকের সংকট দেখা গেছে।

তারপরও চ্যানেলগুলো আগের মতোই সপ্তাহব্যাপী ঈদের অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে। প্রচার করেছে কয়েকশ’ নাটক। তবে দু-একটি ছাড়া এবারের ঈদে বেশিরভাগই দেখা গেছে পুরনো নাটক। শুধু নাটক নয়, সিনেমা হল বন্ধ থাকায় এবারই প্রথম ঈদ উপলক্ষে কোনো চলচ্চিত্রও মুক্তি পায়নি। তারপরও আক্ষেপ নেই নাট্য নির্মাতা, শিল্পী, দর্শকদের। সবাই মনে করেন এবারে নাটক নির্মাণের চেয়ে সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে করোনার ছোবল থেকে আমাদের জয়ী হওয়া। তবে তারা স্বপ্ন দেখছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী কোরবানি ঈদকে ঘিরে আবারও জমজমাট হয়ে উঠবে দেশের নাট্যাঙ্গন। 

নাট্য নির্মাতা সাজ্জাদ বাবলু বলেন, এবারই একটি ব্যতিক্রম ঈদ কেটেছে সবার। কারণটা আমরা সবাই জানি। আমরা মেনেও নিয়েছি। কারণ আগে নিজের এবং আশপাশের সবার জীবন বাঁচাতে হবে। নাটকের শুটিং বন্ধ হওয়া নিয়ে কোনো আক্ষেপ ছিল না। তবে শঙ্কার জায়গা হচ্ছে দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে শুটিং বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন বেশিরভাগ কলাকুশলী। সবাই তো আর স্বচ্ছল নয়। লকডাউন উঠে গেছে। আশা করব সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা কোরবানি ঈদকে ঘিরে আবার শুটিংয়ে নিয়মিত হতে পারব। নাট্য সংগঠন এবং চ্যানেলগুলোও এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করবে। 

নাট্য নির্মাতা জিনাত হাকিম বলেন, ঈদে নতুন নাটক নেই তো কি হয়েছে। এটা নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই। তবে চ্যানেলগুলোর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। দর্শকরা আগে যেসব মিস করেছিলেন, সেসব ভালো নাটকগুলো এবার দেখতে পেলেন। কয়েকজন দর্শকের প্রতিক্রিয়াও পেয়েছি। আমার নিজেরও এবার অন্যের কাজ দেখার বেশি সুযোগ হয়েছে। আমাদের দেশে প্রচুর ভালো নাটক হচ্ছে। তা না হলে পুনঃপ্রচারিত নাটকগুলোও এবার দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠতো না। 

নাট্য পরিচালক অভিনেতা আজিজুল হাকিম বলেন, পরিস্থিতির সঙ্গে আমাদের মেনে চলতেই হবে। আমরা সবাই লড়াই করছি। নাটকে অভিনয় করতে না পারা, কাজ করতে না পারার একটা আক্ষেপ অনেককেই পোড়াচ্ছে। তবে আমি বিশ্বাস করি এই সংকট কেটে যাবে। এই আক্ষেপ থেকেই আমরা আগামীতে আরও ভালো বাংলা নাটক দর্শকদের উপহার দিতে পারব। 

অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি নাটক প্রচারিত হয়েছে সজলের। গুণী এই অভিনেতা জানান, দর্শকরা এবার ঈদে ভালো করে নাটক উপভোগ করছে। কারণ তারা বাইরে যায়নি। ঘরে বসে নাটক দেখাই ছিল তাদের অন্যতম বিনোদন। আমার অভিনীত নাটক দেখে অনেকেই ফেসবুকে নাটকের প্রশংসা করেছে। তার মানে দর্শক নাটকগুলো উপভোগ করেছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh