মহানবীর গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২০, ০৩:৩৬ পিএম

মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) ছিলেন মহান আল্লাহর রাসূল ও বন্ধু। তিনি ছিলেন ক্ষমার মূর্ত প্রতীক। মানবজাতির জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে গেছেন। এসব উপদেশ মেনে চললে জীবন হবে সহজ ও সুন্দর। পরকালে মিলবে পুরস্কার। 

একদিন একজন লোক এসে রাসূলে পাক (সা.)কে বলল- হুজুর আমায় কিছু নসিহত করুন। 

হুজুরে পাক (সা.) বললেন, তোমরা অন্যের ধন দেখে ঈর্ষা করবে না, কারণ অন্যের ধন দেখে যারা ঈর্ষান্বিত হয় তাদের চেয়ে দরিদ্র এবং নিকৃষ্ট আর কেউ নেই। এরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দুশমন। তোমরা যখন নামাজ পড়বে তখন মনে করবে এই আমার জীবনের শেষ নামাজ। আর যখন কথা বলবে তখন ওজন করে কথা বলবে- এমন কথা বলবে না যা বললে তুমি অনুতপ্ত হবে। কারণ কথা হচ্ছে ধনুকের তীরের মতো, একবার মুখ থেকে ফসকে গেলে তার ওপর তোমার আর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। 

হযরত আবু হোরায়রা থেকে বর্ণিত- মিশকাত শরীফের একটি হাদিসে আছে রাসূলে পাক (সা.) নয়টি উপদেশ দিয়েছিলেন। এগুলো হচ্ছে :

১. আল্লাহকে প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে ভয় করবে।

২. আল্লাহর ভয় মনে রেখে ইনসাফের কথা বলবে- রাগে বা আনন্দে আল্লাহকে ভুলে যাবে না।

৩. ধনী বা দরিদ্র যে অবস্থায়ই থাক না কেন, ইসলামে সাবেত থাকবে অর্থাৎ বিশ্বাসে অবিচল থাকবে।

৪. আত্মীয়-স্বজন তোমাদের ত্যাগ করলে তোমরা তাদের ত্যাগ করো না।

৫. যারা তোমাদের শান্তি কেঁড়ে নেয়, তাদের তোমরা শান্তি দেবার চেষ্টা করবে।

৬. যারা তোমার উপর জুলুম করেছে তাদেরকে মাফ করে দেবে।

৭. বেশির ভাগ সময় নীরবতা অবলম্বন করে আল্লাহর চিন্তায় মগ্ন থাকবে।

৮. কথাবার্তা এবং কাজের ফাঁকে আল্লাহর জিকির অব্যাহত রাখবে।

৯. যেখানেই থাক, মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকবে এবং অন্যকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh