ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২০, ০৯:১৯ এএম
ছবি: ইউএনবি
শিশুশ্রম হ্রাসের ক্ষেত্রে ২০ বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও করোনাভাইরাস সংকট আরো লাখ লাখ শিশুর জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে তাদের শিশুশ্রমের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইউনিসেফের নতুন এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
২০০০ সাল থেকে ৯৪ মিলিয়ন শিশুশ্রম কমেছে। কিন্তু কভিড-১৯ সংকটের কারণে এখন এ অগ্রগতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
শুক্রবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অবস্থায় শিশুদের আরো দীর্ঘ সময় বা খারাপ অবস্থার মধ্যে কাজ করতে হতে পারে। তাদের মধ্যে অনেককে কাজের জন্য বাধ্য করা হতে পারে, যা তাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আইএলওর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন বলেন, বর্তমান সংকট মোকাবিলার আগ পর্যন্ত শিশুশ্রম হ্রাসে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল। চলমান মহামারির প্রভাবে শিশুশ্রমের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিগুলোতে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে দিকে লক্ষ্য রেখে এখন আগের চেয়ে আরো বেশি সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, এ সময়োপযোগী প্রতিবেদনটি কভিড-১৯ এর ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরেছে এবং আইএলও, সরকার, কর্মকর্তা, শ্রমিক সংগঠন ও অন্য অংশীজনরা বর্তমান সংকটে কীভাবে সর্বোত্তম সাড়া দিতে পারে তার উপায় জানিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি তোমো হোজুমি বলেন, কভিড-১৯ মহামারি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের জীবন, প্রত্যাশা ও ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, স্কুল বন্ধ ও পারিবারিক উপার্জন হ্রাস অনেক শিশুকে শিশুশ্রম ও বাণিজ্যিক যৌন নির্যাতনের ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু দীর্ঘসময় স্কুলের বাইরে থাকে, পরে তাদের স্কুলে ফিরে আসার সম্ভাবনা কম থাকে। আমাদের এখন মহামারির সময়কালে শিক্ষা ও শিশুদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া দরকার।
আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, করোনা মহামারিতে যেহেতু পারিবারিক আয়ের ওপর প্রভাব পড়েছে, ফলে অনেকে শিশুশ্রমের আশ্রয় নিতে পারে। সংকট চলাকালে সামাজিক সুরক্ষা জরুরি, কারণ এটি ঝুঁকিপূর্ণদের সহায়তা দেয়। -ইউএনবি