ধেয়ে আসা উল্কাপিণ্ড সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২০, ১১:৪০ এএম

মহাকাশে পরিভ্রমণরত পাথর বা ধাতু দ্বারা গঠিত ছোট মহাজাগতিক বস্তু যা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করলে বায়ুর সংঘর্ষে জ্বলে উঠে। তখন একে উল্কাপাত (meteor) বলে। এই উল্কাপাতের জন্য দায়ী বস্তুগুলোকে উল্কা বলে। উল্কাপিণ্ড গ্রহাণুর তুলানায় আকারে অনেক ক্ষুদ্র। আকারে এরা ছোট ধূলিকণা থেকে ১ মিটার দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে।

এসব উল্কার বেশীরভাগই গ্রহাণুর বা ধূমকেতুর অংশবিশেষ। বাকী অংশ মহাজাগতিক বস্তুর সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ। যখন কোন উল্কা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে তখন এর গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ২০ কিমি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়।

একটি বিরাট উল্কা মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। উল্কাটির গতি এত বেশি যে এটি যদি পৃথিবীতে পড়ে তবে বহু কিলোমিটার এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। এটি যদি সমুদ্রে পড়ে তবে সুনামির সৃষ্টি হতে পারে। পৃথিবীর দিকে আসতে যা দূরত্ব এই উল্কাকে অতিক্রম করতে হবে, তাঁর জন্য মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে এটির।

এই গ্রহাণুটির গতি প্রতি সেকেন্ডে ১৩ কিলোমিটার। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টা প্রায় ৪৬,৫০০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসছে এই উল্কা। এই উল্কাটি দিল্লির কুতুব মিনার থেকে চারগুণ এবং আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টির চেয়ে তিনগুণ বড়।

এই গ্রহাণুর নাম ২০১০ এনওয়াই ৬৫। এটি লম্বা প্রায় ১০১৭ ফুট। স্ট্যাচু অফ লিবার্টি ৩১০ ফুট এবং কুতুব মিনার ২৪০ ফুট লম্বা। এই গ্রহাণুটি ২৪ জুন রাত ১২ টা ১৫ মিনিটে পৃথিবীর সবথেকে কাছাকাছি হবে।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা অনুমান করেছে, এটি এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৭ লক্ষ কিলোমিটার দূর থেকে বেরিয়ে যাবে। তবে এই দূরত্বটিকে মহাকাশ বিজ্ঞানে খুব বেশি দূরত্ব নয়। তবে একথাও বলতে হয় যে, এই উল্কাপিণ্ডের গতি প্রকৃতিতে এখনই পৃথিবীবাসীর আশঙ্কার কিছু নেই।

সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করা ছোট ছোট অংশকে গ্রহাণু বলা হয়। এগুলি মূলত মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী বেল্টে পাওয়া যায়। কাল ভবিষ্যৎ এগুলি পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ে।

২০১৩ সালে রাশিয়ায় একটি গ্রহাণু পড়েছিল। এতে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারাত্মক আহত হয়েছিলেন এবং হাজার হাজার ঘর বাড়ির ক্ষতি হয়েছিল।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh