ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২০, ১২:২৬ পিএম
পাটনার পালিগঞ্জ ব্লকের বিয়েবাড়িতে ১১১ জন অতিথি হাজির হয়েছিলেন। গুরগাঁওয়ের এক প্রযুক্তিবিদ যুবকের বিয়ে ছিলো। বিহারের বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষেই এসেছিলেন তিনি। বিয়ের ঠিক আগেই শরীর খারাপ হয় তাঁর। জ্বর, সর্দির উপসর্গ দেখা দেয়। বিয়ের দিন অসুস্থই ছিলেন তিনি। এর পরের ডায়রিয়া নিয়ে পাটনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরের দিনই মারা যান তিনি। মৃত্যুর পরে রিপোর্ট আসে, করোনা পজিটিভ।
এর পরেই বিয়েতে হাজির আত্মীয়-বন্ধুদের মধ্যে অনেকেরই নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। টেস্ট করা শুরু হয় তাঁদের, পজিটিভ রিপোর্ট আসে একের পর এক ব্যক্তির। শেষমেশ জুনের ২৪ ও ২৬ তারিখে দু’টি বিশেষ টেস্ট শিবিরেরই আয়োজন করা হয় প্রায় ৪০০ মানুষের নমুনা সংগ্রহের জন্য। তাঁদের মধ্যে সকলেই হয় বিয়েতে নয় শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, এই সময়ে কী করে এত বড় বিয়েবাড়ি আয়োজন করা হলো। এত জন নিমন্ত্রিত একত্রিত হলেনই বা কার অনুমতি নিয়ে। তার উপরে বিয়ের আগে থেকেই যখন সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বরের, তখন তাঁকে আইসোলেট না করে কেন সকলের সঙ্গে মিশতে দেয়া হলো। একদিকে সরকার বারবার বলছে দূরত্ব বজায় রাখা ও পরিচ্ছন্নতা পালন করার কথা, অন্যদিকে এই রকম মারাত্মক বেনিয়ম ঘটে যাচ্ছে।
সরকারি নিয়মে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বিতীয় দফার আনলকে কোনো বিয়েবাড়িতে ৫০ জনের বেশি একত্রিত হতে পারবেন না। শেষকৃত্যের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ২০ জন। কিন্তু এই বিয়েবাড়ি ও তার পরবর্তী শেষকৃত্য সব নিয়ম ভেঙে দিয়েছে।
তথ্য বলছে, বিহারে এখনো পর্যন্ত ৯৭৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত। ৬২ জন মারা গেছেন সংক্রমণে। ৭৫৪৪ জন এখনো পর্যন্ত সেরে উঠেছেন। তবে টেস্টিংয়ের সংখ্যার নিরিখে সারা দেশের তুলনায় বিহার বেশ পিছিয়েই আছে।-দ্য ওয়াল