ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২০, ০৮:৫৬ পিএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২০, ০৯:২৭ এএম
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা সারা দেশে অধস্তন আদালতে পরিচালিত ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে ৩৫ কার্যদিবসে ৪৯ হাজার ৭৫০ জন আসামিকে জামিন দেয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৩ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান।
দেশে করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনগণকে স্বল্প পরিসরে বিচার দিতে চালু করা হয় ভার্চ্যুয়াল কোর্ট। এর ফলে অনলাইনেই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, কারাগারে থাকা আসামির রিমান্ড আবেদনসহ মামলা সংক্রান্ত অন্যান্য আবেদন গ্রহণ, শুনানি ও আদেশ দিচ্ছে আদালতগুলো।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, গত ২৮ জুন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) পর্যন্ত শুনানিতে ১০ হাজার ৮৬৬ জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি এবং ৪ হাজার ৯৬০ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
তিনি জানান, ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর পর অধস্তন আদালতে গত ১১ মে থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) পর্যন্ত মোট ৩৫ কার্যদিবসে সারা দেশে মোট ৯৫ হাজার ৫২৩ জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ হাজার ৭৫০ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
সাইফুর রহমান জানান, এ সময়ের মধ্যে শুনানিতে মোট জামিনপ্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৬০৮ জন। এ পর্যন্ত সমাজসেবা অধিদফতর এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহায়তায় আভিভাবকের নিকট জামিনপ্রাপ্ত ৫৮৩ শিশুকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৯ মে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ শিরোনামে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ফলে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চুয়ালি উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়।
অধ্যাদেশ জারির পর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে ১০ মে প্র্যাকটিস নির্দেশনা (ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা) জারি করা হয়। সে অনুযায়ী গত ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু হয়, যার মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের যাত্রা শুরু হয়। বাসস