জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২০, ০৬:৪৫ পিএম
জামালপুরের মেলান্দহে মনোয়ারা জেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার চর পলিশা গ্রামের সোহাগ মিয়ার (৩৫) স্ত্রী।
রবিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনাটিকে স্বামীর পরিবার বলছে বিষপানে আত্মহত্যা। কিন্তু পাশবিক নির্যাতনে হত্যা করে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন গৃহবধূর পিতা।
নিহত মনোয়ারার পিতা বেলাল উদ্দিন জানান, কয়েকদিন আগে জমি লিখে দিয়ে অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করে তার মেয়ের জামাই সোহাগ। এ ঘটনা নিয়েই সোহাগ তার স্ত্রী মনোয়ারাকে বেদম প্রহার করে। নির্যাতনে মারা যাবার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যার খবর প্রচার করেছে সে। শনিবার রাতেও আমাদের পরিবারের লোকজনদের সোহাগ মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, মনোয়ারা ও সোহাগের মধ্যে দাম্পত্যকলহ চলছিল। সোহাগের আরেকটা বিয়ে নিয়েই এ কলহের সূত্রপাত।
সোহাগের বড় ভাই সোহেল (৩৮) জানান, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সোহাগের ঘরে হট্টগোল শোনে এগিয়ে যাই। গিয়ে দেখি মনোয়ারা পড়ে আছে, মুখে বিষপানের চিহ্ন।
তিনি বলেন, মুমূূর্ষু অবস্থায় রাতেই মনোয়ারাকে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে রেফার করে ডাক্তার। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেবার সময় রাস্তায় মারা যায় মনোয়ারা।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলুল হক জানান, সোহাগের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল বলে জানতে পেরেছি।
মেলান্দহ থানার ওসি (তদন্ত) আ. মজিদ জানান, ওই গৃহবধূর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী সোহাগ পলাতক রয়েছে বলেও তিনি জানান।